পরিবার মানুষের জীবনের প্রথম বিদ্যালয়। এখানে একজন মানুষ নৈতিকতা, আচার-আচরণ ও মূল্যবোধ শিখে। ইসলাম পরিবারকে সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখেছে। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “তোমরা নিজেদের ও তোমাদের পরিবারকে আগুন থেকে বাঁচাও” (সুরা তাহরিম: ৬)। এই আয়াত প্রমাণ করে পরিবারের দায়িত্ব হলো সন্তানদের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া। দাম্পত্য জীবনে ইসলামের মূল শিক্ষা হলো ভালোবাসা, সম্মান ও দায়িত্বশীলতা। কোরআনে বলা
ইসলামে ন্যায়বিচার একটি মৌলিক শিক্ষা। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বারবার ন্যায় প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন এবং তা ঈমানের অপরিহার্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ বলেন, “হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করো এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে সাক্ষ্য দাও। কোনো জাতির প্রতি ঘৃণা তোমাদেরকে ন্যায়বিচার থেকে বিরত না রাখুক। ন্যায়বিচার করো, এটাই তাকওয়ার নিকটবর্তী” (সূরা মায়েদা: ৮)। এই আয়াত স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে মুসলমানের
মানবজাতির কল্যাণ ও শান্তির জন্য ইসলাম যে মৌলিক শিক্ষা প্রদান করেছে তার অন্যতম হচ্ছে দয়া ও মানবিকতা। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বহু স্থানে মানুষকে একে অপরের প্রতি দয়া ও সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এই দয়ার শিক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। তিনি শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবতার জন্য দয়া ও করুণার
মুমিন জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। দুনিয়ার চাকচিক্য, ধন-সম্পদ কিংবা পদমর্যাদা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি চিরন্তন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, “আল্লাহর সন্তুষ্টিই সবচেয়ে বড় সাফল্য” (সূরা আত-তাওবা: ৭২)। এই আয়াত আমাদের শেখায় যে, প্রকৃত সফলতা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা, দুনিয়ার অর্জন নয়। মানুষ প্রায়ই ভুলে যায় যে তার জীবন সীমিত সময়ের। সীমিত সময়ে সীমাহীন কামনা পূরণের
শিক্ষা মানুষের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তবে শিক্ষা তখনই পূর্ণতা লাভ করে যখন এর সাথে নৈতিকতার সমন্বয় ঘটে। আজকের বিশ্বে আমরা দেখি অনেকেই উচ্চশিক্ষা অর্জন করছে, কিন্তু নৈতিকতার অভাবে সেই জ্ঞান সমাজের জন্য কল্যাণের বদলে অকল্যাণ বয়ে আনছে। ইসলাম শিক্ষা ও নৈতিকতাকে একসাথে গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে শিক্ষিত মানুষ সমাজে সত্যিকার অর্থে আদর্শ স্থাপন করতে পারে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, “পড়
জুমার দিন ইসলামে একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ দিন। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় এ দিনকে আল্লাহ তায়ালা অধিক সম্মানিত করেছেন। পবিত্র কোরআনে এ দিনের গুরুত্বের কথা উল্লেখ আছে এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) এর অসংখ্য হাদিসে এ দিনের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন মুসলমানদের জন্য ঈদের সমতুল্য। এ দিনে যারা গোসল করে, পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করে, সুগন্ধি ব্যবহার করে এবং জামাতে নামাজ আদায়
বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক সঙ্কট এক গভীর বাস্তবতা। মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, আয়ের বৈষম্য ও দুর্নীতি সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। মুসলিম সমাজও এই সংকট থেকে মুক্ত নয়। তবে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে অর্থনৈতিক সঙ্কট শুধু হিসাবের ঘাটতি নয়, বরং নৈতিকতার অভাবও এর বড় কারণ। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, "যখনই কোনো শহরকে আমরা ধ্বংস করতে চাই, তখন সেখানে বিলাসিতায় লিপ্তদেরকে আদেশ করি, তারা সেখানে সীমালঙ্ঘন করে,
মুমিনের জীবনে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আল্লাহ তাআলা কুরআনে ঘোষণা করেছেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ, যে আল্লাহর সাক্ষাৎ কামনা করে এবং পরকালকে আশা করে।” (সূরা আহযাব: ২১)। এ আয়াত প্রমাণ করে, রাসূলের প্রতি ভালোবাসা শুধু আবেগ নয় বরং ঈমানের শর্ত। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজেই বলেছেন, “তোমাদের কেউ পূর্ণ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না
দয়া ও মানবিকতা ইসলামের মূল শিক্ষাগুলোর অন্যতম। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ দয়া প্রদর্শনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৩৪) এই আয়াতের মাধ্যমে বোঝা যায় যে মানুষ যদি একে অপরের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে তবে তা আল্লাহর সন্তুষ্টির কারণ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যারা পৃথিবীর মানুষের প্রতি দয়া করে, আসমানের মালিক তাদের প্রতি দয়া করেন।’ (তিরমিজি) অর্থাৎ, দয়া এমন এক
ইসলাম ন্যায়বিচারকে সমাজের মূলভিত্তি হিসেবে স্থাপন করেছে। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে ইরশাদ করেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেন ন্যায়বিচার করতে, সৎকর্ম করতে এবং আত্মীয়কে সাহায্য করতে” (সুরা নাহল: ৯০)। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে, মানুষ নিরাপত্তা অনুভব করে। অন্যায় ও অবিচার দূর হয় এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তোমরা সাবধান! যে ব্যক্তি অন্যায় করবে, তার বিপক্ষে
ইসলামে পরিবেশ সংরক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বারবার বলেছেন যে পৃথিবীকে তিনি সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষকে এর খলিফা করেছেন। অর্থাৎ মানুষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেন সে পরিবেশকে সুরক্ষা করে এবং এর ক্ষতি না করে। আল্লাহ বলেন, “তিনি আকাশকে উত্তোলন করেছেন এবং তিনি ভারসাম্য স্থাপন করেছেন। যাতে তোমরা ভারসাম্যে ব্যাঘাত না
বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কট গভীর আকার ধারণ করেছে। মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব এবং আর্থিক বৈষম্য মানুষের জীবনে নানা রকম চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। ইসলাম এই ধরনের সঙ্কট মোকাবিলায় একটি পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে, যা ব্যক্তি ও সমাজের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে। কুরআন ও হাদিসে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার, সুদের নিষেধাজ্ঞা এবং সম্পদের সুষম বণ্টনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলামে অর্থনৈতিক সঙ্কটের অন্যতম কারণ
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ছিল মানবিকতা, দয়া এবং ক্ষমাশীলতার সর্বোচ্চ উদাহরণ। তিনি এমন এক সমাজে জন্মেছিলেন যেখানে কঠোরতা, প্রতিশোধ এবং অমানবিক আচরণ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। তবু তিনি মানুষের প্রতি দয়া, অসহায়দের প্রতি সহানুভূতি এবং শত্রুর প্রতিও ক্ষমার মাধ্যমে পৃথিবীকে দেখিয়েছেন প্রকৃত মানবিকতার পথ। আল্লাহর কিতাব কুরআনে বারবার মানবিকতার শিক্ষা এসেছে, যেমন সূরা আনবিয়ায় বলা হয়েছে, “আমি আপনাকে পাঠিয়েছি বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ।” রাসূলুল্লাহ (সা.)
আজকের দিনে বিশ্বজুড়ে নানা প্রতিযোগিতা, জয়-পরাজয়ের খবর শোনা যায়। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে প্রকৃত বিজয় হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা এবং জান্নাতের অধিকারী হওয়া। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেছেন যে, যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, তাদের জন্য জান্নাত সুসংবাদস্বরূপ নির্ধারিত। সূরা আহকাফে আল্লাহ বলেন, “যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ এবং এরপর সরল পথে অটল থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং
মানুষের জীবনে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা এবং সাফল্য-বিফল সবই একে অপরের পরিপূরক। কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, “আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব ভয়, ক্ষুধা, ধনসম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষতি দ্বারা; আর ধৈর্যশীলদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে” (সূরা বাকারা: ১৫৫)। সংকটের মুহূর্তে এই ধৈর্যই একজন মুমিনের জন্য প্রধান আশ্রয়। ধৈর্য মানে কেবল কষ্ট সহ্য করা নয়, বরং আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রেখে তাঁর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকা। রাসূলুল্লাহ
দান ও সদকা ইসলামে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত। কোরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে অসংখ্যবার আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে ঘোষণা করেছেন, যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের সম্পদ কখনও ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না, বরং বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সদকা গুনাহ মুছে দেয় যেমন পানি আগুনকে নেভায়। এই হাদিসে দানের মাহাত্ম্য ও আধ্যাত্মিক সুফল স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। সদকা শুধু সম্পদ দান
জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ এবং বরকতময় দিন। হাদিসে এসেছে, এই দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে যখন বান্দার করা দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, জুমা হলো ঈদের দিনসমূহের মধ্যে সেরা দিন এবং এই দিনে আল্লাহর রহমত বিশেষভাবে বর্ষিত হয়। তাই মুসলমানদের উচিত এ দিনকে ইবাদত ও তাকওয়ার মাধ্যমে পরিপূর্ণ করা। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে সূরা আল-জুমা অবতীর্ণ
ইসলামে জীবিকা অর্জনের পথকে শুধু অর্থনৈতিক নয়, আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতেও দেখা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “হে ঈমানদারগণ! একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না; তবে পারস্পরিক সম্মতিতে বৈধ বাণিজ্যের মাধ্যমে ভক্ষণ করো” (সূরা নিসা: ২৯)। এই আয়াত আমাদের শেখায় যে বাণিজ্য ও পেশাগত জীবনে সততা শুধু নৈতিকতা নয় বরং আল্লাহর নির্দেশ। আজকের সমাজে অসততা, প্রতারণা ও অতিরিক্ত লাভের নেশায় অনেকেই
ইসলামে আল্লাহর যিকরকে (স্মরণ) এক বিশেষ ইবাদত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কুরআন ও হাদিসে বারবার উল্লেখ আছে, যিকর হলো এমন এক কাজ যা মানুষের অন্তরকে প্রশান্ত করে, হৃদয়কে শক্তিশালী করে এবং দুনিয়ার দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়। আল্লাহ তায়ালা সূরা রা’দে বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণেই অন্তর শান্তি লাভ করে।” এই আয়াতই প্রমাণ করে যে, জীবনের নানা অশান্তি ও সমস্যার সমাধান লুকিয়ে
আজ শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, হিজরী ৩ রজব ১৪৫২। মুসলিম সমাজে কুরআনের শিক্ষা ও নৈতিকতার গুরুত্ব নিয়ে আজ বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্রে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্মবিশেষজ্ঞরা বলেন, কুরআনের আলোকে জীবন পরিচালনা করলে ব্যক্তি ও সমাজ উভয়েই নৈতিক ও আত্মিক উন্নতি লাভ করতে পারে। আজকের কর্মসূচিতে কুরআন তিলাওয়াত ও তাফসির পাঠ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা যুবসমাজকে কুরআনের শিক্ষার সঙ্গে মানিয়ে নৈতিকতা,
মানুষ দুনিয়ায় ধন-সম্পদ অর্জনের পেছনে সব সময় ছুটে চলে। কেউ অর্থ, কেউ ক্ষমতা, আবার কেউ সামাজিক মর্যাদা অর্জনকে জীবনের মূল লক্ষ্য বানিয়ে ফেলে। কিন্তু ইসলাম আমাদের শেখায়, প্রকৃত সম্পদ হলো আল্লাহর ভয় বা তাকওয়া। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ধন-সম্পদ হলো প্রচুর জিনিসপত্র নয়, বরং ধন-সম্পদ হলো অন্তরের সমৃদ্ধি।” (সহিহ বুখারি ও মুসলিম) অন্তরের এই সমৃদ্ধি হলো সেই তৃপ্তি,
বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ইমান এবং আমলের দৃঢ়তা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত এবং হাদিস অধ্যয়নের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। বিশেষত বর্তমান সময়ে সামাজিক ও নৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়ার জন্য এই শিক্ষাগুলি অপরিহার্য। ইসলামি শিক্ষাবিদরা বলেন, নিয়মিত নামাজ, রোজা এবং দানের মাধ্যমে মানুষের মন ও চরিত্রের পরিশোধন হয়। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন, একজন মুসলিমের জীবনের উদ্দেশ্য
ইসলামে শুক্রবারের দিনটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। কোরআন ও হাদিসে এই দিনের গুরুত্ব বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, শুক্রবার সপ্তাহের সেরা দিন, এই দিনে আদম (আ.) সৃষ্টি হয়েছিলেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছিলেন এবং এই দিনেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তাই মুসলমানদের জন্য এই দিনটি ইবাদতের বিশেষ সুযোগ নিয়ে আসে। শুক্রবারের অন্যতম প্রধান আমল হচ্ছে জুমার নামাজ আদায় করা। ইসলামে
ইসলামে দোয়া বা প্রার্থনা আল্লাহর সাথে বান্দার সবচেয়ে সুন্দর সংলাপ। কুরআনে আল্লাহ বলেন, “আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।” (সূরা গাফির: ৬০) দোয়া কেবল চাওয়ার নাম নয়, বরং এটি বান্দার অন্তরের বিনয়, আশা এবং ঈমানের প্রকাশ। দোয়ার মাধ্যমে একজন মুমিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সাহায্য কামনা করে, তা দুনিয়ার সমস্যা হোক বা আখেরাতের কল্যাণ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,