ইসলামে শুক্রবারকে একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী, এটি সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন এবং ‘সপ্তাহের ঈদ’ হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কুরআনে সূরা জুমআর মাধ্যমে এ দিনের গুরুত্ব সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। হাদীসে এসেছে, ‘সূর্য ওঠা সেরা দিন শুক্রবার, এই দিন আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এই দিনেই কেয়ামত সংঘটিত হবে।’ (সহীহ মুসলিম) জুমআর দিনে মুসলমানদের ওপর
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আযহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানরা পালন করবেন এই বিশেষ দিনটি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা, কোরবানির পশু কেনা এবং প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। কোরবানির ঈদ মুসলমানদের জন্য কেবল আনন্দ আর খুশির বার্তা নয়, বরং এর মাধ্যমে আসে আত্মত্যাগ, সহানুভূতি ও তাকওয়ার শিক্ষা। হজরত ইব্রাহিম (আ.)
মানুষ চেষ্টার পর ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করে, কিন্তু সেই ফলাফলের উপর তার কোনো পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এখানে এসে একজন মুমিনের ভরসা হয়ে ওঠে আল্লাহ তাআলার উপর তাওয়াক্কুল বা নির্ভরতা। আল্লাহ বলেন, “যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট” (সূরা তালাক, আয়াত ৩)। অর্থাৎ, একজন বান্দা যখন সমস্ত সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করে এবং পরিশেষে আল্লাহর উপর নির্ভর করে,
ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ পবিত্র হজ। প্রতি বছর বিশ্বের লাখো মুসলমান সৌদি আরবে গিয়ে এই মহিমান্বিত ইবাদত পালন করেন। চলতি বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে যাচ্ছে আর মাত্র তিন দিন পর। ইতোমধ্যে ১০ লাখের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির হজবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ। জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের প্রধান ধর্মীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এই সময়
মুসলিম জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হজ্ব এবং কুরবানি। এই দুটি ইবাদত শুধুমাত্র আচার-অনুষ্ঠান নয়, বরং তা আত্মত্যাগ, মানবতা ও আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের প্রতীক। কুরআন ও হাদিসে এর গুরুত্ব বহুবার বর্ণিত হয়েছে। প্রতি বছর জিলহজ মাসে হজ্ব ও কুরবানিকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দুটি আমল পালনে একত্র হন। এর মাধ্যমে মুসলিম জাতি আল্লাহর নৈকট্য লাভে নিজেদের নিয়োজিত করে। হজ্ব
জিলহজ মাস হিজরি বছরের অন্যতম পবিত্র মাস এবং এটি ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি স্তম্ভের একটি—হজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এ মাসের প্রথম দশ দিনকে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ বলা হয়েছে। এই সময়টিকে নবী কারিম (সা.) বছরের সেরা দিনসমূহ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে সৎকর্মের প্রতিদান অন্যান্য সময়ের চেয়ে বহুগুণ বেশি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘‘জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনে আল্লাহর কাছে নেক আমল যত
প্রতি বছর জিলহজ মাস শুরু হতেই মুসলিম উম্মাহ কুরবানি এবং হজ পালন নিয়ে বিশেষ প্রস্তুতি নেয়। কুরবানি হলো ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং নবী ইবরাহিম (আঃ) এর ত্যাগের স্মৃতি হিসেবে পালন করা হয়। কুরবানি করা পশুর মাংস গরীব ও দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়, যা মুসলিম সমাজে ঐক্য ও সৌহার্দ্য বাড়ায়। এটি শুধুমাত্র পশু কোরবানি নয়,
ঈদুল আজহার আগমন ঘনিয়ে আসতেই মুসলিম সমাজে কোরবানির বিভিন্ন মাসআলা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই জানার চেষ্টা করছেন, একটি পশুতে সর্বোচ্চ কতজন কোরবানি দিতে পারবেন এবং শরিক হওয়ার নিয়ম কী। ইসলামিক শরিয়তের আলোকে বিষয়টি খুবই স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এজন্য সঠিক জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরি, যাতে ইবাদতটি আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে গ্রহণযোগ্য হয়। ছাগল, ভেড়া কিংবা দুম্বা—এই ধরনের ছোট পশু দ্বারা কেবল
আল্লাহ তাআলা অসীম গুণের অধিকারী, কিন্তু তিনি তাঁর পবিত্র কোরআনে ও রাসুল (সা.)-এর হাদিসে যেসব গুণবাচক নাম প্রকাশ করেছেন, তার মধ্যে ৯৯টি নাম মুসলমানদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। এই ৯৯টি নামকে বলা হয় ‘আস্মা-উল-হুসনা’ অর্থাৎ সুন্দরতম নামসমূহ। হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম রয়েছে, যে ব্যক্তি এসব নাম মুখস্থ রাখবে (বা বুঝে আমল করবে) সে জান্নাতে যাবে।’ (বুখারি: ২৭৩৬, মুসলিম: ২৬৭৭)। আল্লাহর
ঈদুল আজহা মুসলিম জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা কেবল আনন্দ আর উৎসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি এক মহৎ আত্মত্যাগের স্মৃতি বহন করে। হজরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর আদেশ পালনে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দিতে প্রস্তুত হয়ে যে আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, সেটাই ঈদুল আজহার মূল শিক্ষা। এই আত্মত্যাগ আমাদের শেখায় কীভাবে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ
বর্তমান যুগে প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ইসলামী দাওয়াতের পদ্ধতিও পরিবর্তিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া এখন ইসলামী শিক্ষা ও দাওয়াত প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে লক্ষ কোটি মানুষ প্রতিদিন ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও এক্স (সাবেক টুইটার)-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও দাঈ নতুন প্রজন্মের কাছে ইসলামী শিক্ষা, হাদীস ও কুরআনের ব্যাখ্যা
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনকে ইসলামে 'সপ্তাহের ঈদ' বলা হয়েছে। হাদীসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “সূর্য যেদিন উদিত হয় সেই দিনের মধ্যে শুক্রবার সর্বোত্তম। এই দিনেই আদম (আ.) সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়।” (মুসলিম, হাদিস ৮৫৪) জুমার দিনে এক বিশেষ মুহূর্ত আছে, যখন বান্দার
একজন মুসলমানের ঈমান পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য যে ছয়টি মৌলিক বিষয়ে বিশ্বাস রাখা আবশ্যক, তা হলো ঈমানের ছয়টি স্তম্ভ। এই ছয়টি স্তম্ভ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা পবিত্র কুরআন এবং রাসূল (সা.)-এর হাদীস দ্বারা নির্ধারিত। প্রথম স্তম্ভ হলো আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখা, যা মানে হলো তিনি এক, অদ্বিতীয়, সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা এবং সব কিছুর মালিক। তাঁর কোন অংশীদার নেই এবং তিনি সকল গুণাবলির
ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, কিয়ামতের বড় নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দাজ্জালের আগমন। হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ (সা.) স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, দাজ্জাল এক প্রতারক, যে নিজেকে খোদা বলে দাবি করবে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করবে। তিনি ৪০ দিন পৃথিবীতে অবস্থান করবে, যেখানে প্রথম দিনটি হবে এক বছরের সমান, দ্বিতীয় দিন এক মাসের এবং তৃতীয় দিন এক সপ্তাহের সমান। বাকিগুলো হবে স্বাভাবিক দিনের মতো। দাজ্জাল এমন
আখিরাতে সফলতা লাভ করার জন্য ইসলামে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ‘তাকওয়া’ বা আল্লাহভীতি অর্জনের ওপর। আল-কুরআনের বহু আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের তাকওয়া অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাকওয়াবানদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। সূরা আল-বাকারা-তে আল্লাহ বলেন, "এই কুরআন হিদায়াত তাদের জন্য, যারা তাকওয়াবান।" তাকওয়া হলো এমন একটি গুণ, যা একজন মুমিনকে সব ধরনের পাপ থেকে দূরে রাখে এবং তাকে আল্লাহর
মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত্যুর পর মানুষের যাত্রা শেষ নয়, বরং শুরু হয় অনন্ত জীবনের প্রথম অধ্যায়—কবর। কবরের প্রথম রাতটি এমন একটি বাস্তবতা, যা নিয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের সতর্ক করেছেন বহুবার। তিনি বলেছেন, কবর হচ্ছে জান্নাতের একটি বাগান অথবা জাহান্নামের একটি গর্ত। অর্থাৎ, এই রাতেই শুরু হবে একজন মৃত ব্যক্তির প্রকৃত পরিণতির ধারা। নবীজি (সা.) আরও বলেন, মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে ছোট থেকে বড় প্রতিটি কাজেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারিত। মুসলমানের জীবনে নিয়তের গুরুত্ব এতই বেশি যে, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে।’ (সহীহ বুখারী, হাদিস ১) একজন মুমিনের প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত থাকা উচিত। দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক কাজ আছে
পবিত্র জুমার দিন ইসলামে এক বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। এই দিনটি মুসলিমদের সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ এবং গুনাহ মাফের সুযোগ মেলে। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, জুমার দিন এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তা কবুল হয়। ইমাম বোখারী ও মুসলিমের হাদিস মতে, জুমার দিন আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের কল্যাণের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। সূরা আল-বাকারা’র ১৪৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, “সুতরাং তোমরা কল্যাণের দিকে প্রতিযোগিতা করো।” এই আয়াতটি মুসলমানদের মনে করিয়ে দেয়, শুধু ভালো কাজ করলেই চলবে না, বরং সেই ভালো কাজে অগ্রগামী হওয়ার মনোভাব থাকতে হবে। আধুনিক যুগের ব্যস্ত জীবনে অনেকেই ইবাদত বা নেক আমলের সময় পান না বলে অভিযোগ করেন।
রিজিক বা জীবিকা মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলাম ধর্মে রিজিক শুধুমাত্র পরিশ্রমের ফল নয়, বরং এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ও বরকতময় এক নিয়ামত। তবে কোরআন ও হাদিসে এমন কিছু আমল বা কাজের কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে রিজিকে বরকত আসতে পারে এবং তা বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রথমত, তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা রিজিক বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপায়। হজরত উমর
ফজরের নামাজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। অনেকেই ফজরের সময় ঘুমে থাকেন বা অলসতার কারণে নামাজ আদায় করেন না। অথচ এই নামাজের রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা, যা শুধুমাত্র আখিরাতেই নয়, ইহজগতেও প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্য, মন ও কর্মজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে ফজরের সময় জাগা এবং নামাজ আদায় একটি শক্তিশালী অভ্যাস। প্রথমত, ফজরের সময় ঘুম থেকে ওঠা মানেই শরীর ও মস্তিষ্ককে সতেজ রাখা। গবেষণায়
ইসলামে পবিত্রতা এক অত্যাবশ্যক বিষয়, যা ইবাদতের পূর্বশর্ত হিসেবেই বিবেচিত। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজে যেমন নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, কিংবা মসজিদে প্রবেশ—সকল ক্ষেত্রেই শারীরিক ও আত্মিক পবিত্রতার গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলাম ধর্মে ওযু, গোসল ও তায়াম্মুমের বিধান মূলত এই পবিত্রতারই অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এই পবিত্রতা অর্জনের প্রধান মাধ্যমই হলো পানি। কোরআন মাজিদে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর আমি প্রতিটি জীবন্ত জিনিস সৃষ্টি করেছি
ইসলামের ইতিহাসে ধৈর্যের সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তার জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে তিনি যেভাবে ধৈর্য ধারণ করেছেন, তা আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জন্য অনুকরণীয় হয়ে রয়েছে। ধর্ম প্রচারে বাধা, নির্যাতন, অপমান এবং যুদ্ধ—সব ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন ধৈর্যশীল, যা আমাদের শিখিয়ে দেয় সংকটে কীভাবে আত্মনিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হয়। মক্কা নগরীতে ইসলামের দাওয়াত শুরু করার পর কুরাইশদের কাছ
ইসলাম ধর্মে দোয়া একটি অসাধারণ শক্তিশালী ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়। আল্লাহর প্রতি আমাদের আশ্রয়, নির্ভরতা ও ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো দোয়া। কুরআন ও হাদীসের অসংখ্য স্থানে দোয়ার গুরুত্ব, ফলপ্রসূতা এবং তা কবুল হওয়ার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। দোয়া শুধু ইবাদত নয়, এটি বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে সরাসরি এক হৃদ্যতা ও সংযোগের পথ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “দোয়া ইবাদতের মূল” (তিরমিজি)। অর্থাৎ