ইসলামে মানুষের দুনিয়াবি জীবনও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) আমাদের এমন অনেক হাদিস দিয়ে গেছেন যেগুলো শুধু আখিরাতের জন্য নয়, দুনিয়ার জীবনের জন্যও হেদায়েত ও প্রশান্তির পথ দেখায়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার পরিবার-পরিজনের কাছে উত্তম আচরণ করে।’ (তিরমিজি)। এই হাদিস আমাদের পারিবারিক জীবনে সদাচরণ, সহনশীলতা ও ভালোবাসার ভিত্তি তৈরি করে, যা
ইসলামে অপচয়কে কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে। কুরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই” (সূরা ইসরা: ২৭)। অপচয় শুধু সম্পদের অপমান নয়, বরং এটি অহংকার, গাফিলতি ও অকৃতজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি। আজকের সমাজে বিশেষ করে খাবার ও পোশাকে অপচয় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। ইসলামের আলোকে এর প্রতিকার ও গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো আমাদের জানা থাকা দরকার। প্রথমত, খাবারের ক্ষেত্রে অপচয় আজ একটি সাধারণ সামাজিক সমস্যা
শুক্রবার ইসলাম ধর্মে একটি অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন দিন। পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিসে এই দিনের বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। এই দিনে জুমার নামাজ, দরুদ পাঠ, গোসল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে যেমন এই দিনে কিছু আমল করতেন, তেমনি তিনি তাঁর উম্মতদেরও তা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রথমত, এই দিনে পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করা
ইসলামে আমল বা কর্ম যত গুরুত্বপূর্ণ, তারচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সেই আমলের নিয়ত। হাদীসে এসেছে—“নিয়ত ছাড়া কোনো আমল গ্রহণযোগ্য নয়” (সহীহ বুখারী)। অর্থাৎ আমাদের প্রতিটি ইবাদত, দুনিয়াবি কাজ এমনকি সাধারণ কথাবার্তাও যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হয়, তাহলে তাতেও সওয়াব রয়েছে। তাই মুসলমানের জীবনে সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ হলো নিজের নিয়তকে ঠিক করা। আমরা অনেকে সালাত পড়ি, রোজা রাখি, দান-খয়রাত করি; কিন্তু নিয়ত
মানুষের জীবনে সংকট আসবেই, বিপদ আসবেই। সেই বিপদের সময় মানুষ যার শরণাপন্ন হয়, তিনি হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ। দোয়া হচ্ছে বান্দার অস্ত্র—যা দিয়ে সে পৃথিবীর এবং আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ লাভ করতে পারে। কিন্তু সব দোয়া কি কবুল হয়? অনেকেই বলেন, দোয়া তো করেছি, কিন্তু ফল পাইনি। আসলে দোয়ার কবুল হওয়ার জন্য কিছু শর্ত ও আদব রয়েছে, যেগুলো পূরণ না হলে দোয়ার
আধুনিক সমাজে মুসলিম পরিচয়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে হালাল ও হারাম বিষয়ে অস্পষ্টতা। প্রযুক্তির উৎকর্ষ, বৈশ্বিক অর্থনীতি ও নিত্যনতুন পণ্যের ছড়াছড়ির যুগে অনেক কিছুই আমরা ব্যবহার করি বা গ্রহণ করি—যার বৈধতা নিয়ে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাবি না। অথচ একজন মুমিনের জন্য হালাল-হারামের বোধ জাগ্রত করাই হলো তাকওয়ার মূল ভিত্তি। হাদীসে এসেছে, “হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর এ দুয়ের মাঝে কিছু সন্দেহযুক্ত
আল্লাহর রাসুল (সা.) এর জীবন আমাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ পথনির্দেশ। দুনিয়াবি ব্যস্ততার এই যুগে মানুষ যখন অশান্তির ভেতর দিয়ে দিন পার করছে, তখন রাসুল (সা.) এর জীবনের ছোট ছোট শিক্ষা আমাদের জন্য হতে পারে অমূল্য দিকনির্দেশনা। বিশেষ করে তাঁর “অল্পতেই সন্তুষ্টি” এবং “সচ্চরিত্র” চর্চা ছিল মুসলিম উম্মাহর জন্য স্থায়ী আদর্শ। আজকের দিনে এই দুটি গুণের চর্চা করলে পারিবারিক শান্তি, সামাজিক ঐক্য
ইসলামে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে অত্যন্ত স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কোরআন ও হাদীসে একাধিক স্থানে বলা হয়েছে, কেউ যদি কারো কাছ থেকে ঋণ নেয়, তাহলে সময়মতো তা পরিশোধ করা তার জন্য ফরজ বা বাধ্যতামূলক। হাদীসে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “ধার শোধের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি শোধ করে না, সে একজন জালিম।” (সহিহ বুখারী) আধুনিক সমাজে মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে
শুক্রবার মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনকে ‘সপ্তাহের সেরা দিন’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। জুমার দিনে আল্লাহর রহমতের দরজা খুলে দেওয়া হয়, বিশেষ করে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন বান্দা যদি মন থেকে দোয়া করে, আল্লাহ তা কবুল করে নেন। জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে বহুবার বর্ণনা এসেছে। সহিহ মুসলিম শরিফে আছে,
পৃথিবীতে আল্লাহর রাসূল (সা.) যেভাবে জীবনযাপন করেছেন, সেই পদ্ধতিকেই বলা হয় সুন্নাত। একজন মুসলমানের জীবনে সুন্নাহ অনুসরণ শুধু ইবাদত নয়, বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সবচেয়ে সুন্দর ও সহজতম পথ। হাদিসে বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি আমার সুন্নাহকে ভালোবাসে, সে যেন আমাকেই ভালোবাসল। আর যে আমাকেই ভালোবাসল, সে জান্নাতে আমার সঙ্গেই থাকবে।” (তিরমিজি) আমরা অনেক সময় মনে করি, কেবল নামাজ-রোজা বা হজ-জাকাতের
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবন ছিল পূর্ণাঙ্গ ইসলামের বাস্তব রূপ। তিনি শুধু ইবাদতের জন্য নয়, বরং সর্বোচ্চ নৈতিকতার প্রতীক হিসেবে মানবজাতির জন্য আদর্শ হয়ে এসেছেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ, যার চরিত্র সবচেয়ে উত্তম’’ (বুখারি)। বর্তমান সময়ে মুসলমানদের মধ্যে যে বিভ্রান্তি, অনৈক্য এবং সমাজে যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, তার একটি বড় কারণ হলো উত্তম চরিত্রের
আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মুমিনের প্রথম করণীয় হলো দুনিয়ার প্রতি মোহ কমানো এবং অন্তরে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালোবাসা জাগানো। কুরআন ও হাদীস বারবার সতর্ক করে যে, দুনিয়া হচ্ছে পরীক্ষা, আর এ পরীক্ষায় সফল হতে হলে হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করতে হবে। হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যার দুনিয়ার চিন্তা বাড়ে, আল্লাহ তার গরিবিকে সামনে নিয়ে আসেন এবং তার ফাঁকা জীবনকে ব্যস্ততায় ভরে
মানুষের চরিত্র, আচরণ ও সামাজিক জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামে রয়েছে চমৎকার দিকনির্দেশনা। রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের জীবনের প্রতিটি দিকেই হেদায়াত দিয়েছেন, যা শুধু আখিরাত নয়, দুনিয়ার জীবনকেও করে তোলে সুন্দর ও সফল। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘সেই মুসলমানই উত্তম, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।’ (বুখারি)। এ হাদিসটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা। সমাজে
ইসলামের দৃষ্টিতে কিয়ামতের আলামতগুলো মানুষের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধিক হাদীসে কিয়ামতের ছোট ও বড় আলামতের কথা বলেছেন। তাঁর বর্ণনায় উঠে এসেছে, কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে মানুষের জীবনে বরকত কমে যাবে, বিশেষত সময়ের বরকত। হাদীসে এসেছে, “কিয়ামতের অন্যতম আলামত হবে—সময় সংকুচিত হয়ে যাবে।” (সহীহ বুখারী: ৯৯২)। এই সময় সংকোচনের অর্থ অনেকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। একদিকে দিনরাত্রির সময়কাল কমে
আল্লাহ তাআলা বান্দার ছোট ছোট আমলকে বড় করে দেখেন। ইসলামে এমন বহু সহজ আমল আছে, যার মাধ্যমে একজন মুমিন জান্নাতের বিশাল মর্যাদায় আসীন হতে পারে। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচাও অর্ধ একটি খেজুর দান করে হলেও" (বুখারি, মুসলিম)। এ থেকে বোঝা যায়, সামান্যতম সদকা, নেক কাজ, বা সদ্ব্যবহার পর্যন্ত জান্নাতের দরজা খুলে দিতে পারে। রাসূল (সা.) এর
ইসলাম ধর্মে মানুষের নৈতিক চরিত্র বা আখলাককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআন এবং হাদীসের অসংখ্য স্থানে ভালো ব্যবহারের গুরুত্ব, মুমিনের আচরণ এবং মানুষের সঙ্গে সদাচরণের উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন মুমিনের আমলনামায় সবচেয়ে ভারী যে আমলটি থাকবে, তা হচ্ছে তার উত্তম আখলাক। এটি বোঝায় যে, শুধু নামাজ-রোজা নয়, বরং মানুষের সঙ্গে আচরণই একটি
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ছে, আর সেই ধারায় মুসলিম বিশ্বে নবী করিম (সা.) এর খাদ্যাভ্যাস ও সুন্নাহভিত্তিক খাবারের প্রতি আগ্রহও বেড়েছে। গবেষণা বলছে, রাসুল (সা.) এর প্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে খেজুর, মধু, যব, দুধ ও অলিভ অয়েল—যেগুলোর প্রতিটিই আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে উপকারিতার জন্য স্বীকৃত। এই অভ্যাসগুলো শুধু ধর্মীয় দিক থেকেই নয়, স্বাস্থ্যরক্ষার দিক থেকেও অত্যন্ত কার্যকর। রাসুল (সা.) খেজুর খুব পছন্দ
ইসলাম ধর্মে কবরকে বলা হয় ‘বারযাখ’ — যা মৃত্যুর পর ও কিয়ামতের আগে এক অন্তর্বর্তীকালীন জগৎ। একজন মুমিনের জন্য এই কবরের জীবন শান্তির, আর একজন কাফেরের জন্য এটি শাস্তির। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, কবর হলো জান্নাতের বাগানসম একটি বাগান অথবা জাহান্নামের গর্তসম একটি গর্ত। কবরের এই জীবন সম্পর্কে জানা, আমাদের দুনিয়ার আচরণ ও আমল গঠনে গভীর প্রভাব ফেলে। মুমিন
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় মুসলিম বিশ্বে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। ডেনমার্ক, সুইডেন ও ফ্রান্সসহ কিছু দেশে প্রকাশ্যে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটলেও এসব দেশের সরকার অভিব্যক্তির স্বাধীনতার কথা বলে এসব অপকর্মকে রুখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর ফলে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগছে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। ইসলামের দৃষ্টিতে কোরআন শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয়,
জুমার দিনকে ইসলাম বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। এটি সপ্তাহের সর্বোত্তম দিন এবং মুসলমানদের জন্য এক আত্মিক উজ্জীবনের দিন। হাদীসে এসেছে, জুমা হলো মুসলিম উম্মাহর জন্য ‘সপ্তাহের ঈদ’। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সূর্য যে দিনটিতে উদিত হয়েছে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এই দিনেই আদম (আ.) সৃষ্টি হয়েছিলেন, এই দিনেই তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করে
মানুষ জীবনের নানা মোড়ে ভুল করে ফেলে, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে, কেউ না বুঝে। কিন্তু ইসলামে আল্লাহর রহমত এতই বিশাল যে, কোনো বান্দা যদি আন্তরিকভাবে তাওবা করে, তাহলে তাঁর গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। কুরআনে বলা হয়েছে, “তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তাওবা করো, যাতে তোমরা সফল হও।” (সূরা আন-নূর: ৩১)। এটি প্রমাণ করে যে তাওবা শুধুই গোনাহ মাফের উপায় নয়, বরং সফলতার
বর্তমান বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে ইসলাম নিয়ে ভুল ধারণা ও ইসলামভীতি (ইসলামোফোবিয়া) ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপ-আমেরিকায় মুসলিমরা প্রায়শই কেবল তাদের নাম, পোশাক বা বিশ্বাসের জন্য বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে, এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও ইসলাম গ্রহণের হার বেড়েই চলেছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। অনেক পশ্চিমা দেশের তরুণ এখন জীবন ও মানবতার অর্থ খুঁজতে গিয়ে ইসলামের দিকে ঝুঁকছেন। ইসলামের সরলতা, আত্মশান্তি ও ন্যায়ের
মৃত্যুর পরে মানবজীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়—এটি কবরজীবন। এই জগতের সঙ্গে পরকালীন জীবনের প্রথম সংযোগ ঘটে কবরেই। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আত্মাকে পৃথক করা হয় এবং তাকে রাখা হয় কবরের পরিবেশে। এই সময়েই শুরু হয় একা একা জবাবদিহির দীর্ঘতম রাত, যাকে বলা হয় ‘কবরের প্রথম রাত’। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “কবর হল জান্নাতের বাগান অথবা জাহান্নামের
ইসলাম ধর্মে কিয়ামতের দিন বা বিচার দিবস একটি অটল বিশ্বাস, যেদিন আল্লাহ সমস্ত মানুষকে পুনরুত্থিত করে তাদের কাজের হিসাব নেবেন। কুরআন ও হাদীসে অসংখ্যবার এই দিনের কথা বলা হয়েছে, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি তার কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর দরবারে দাঁড়াবে। কুরআনের সূরা আল-ইনফিতার ১০ থেকে ১২ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই তোমাদের উপর নিয়োজিত রয়েছে রক্ষক ফিরিশতা, যারা তোমাদের কাজগুলো লিখে রাখে।”