প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৭
ইসলামে জ্ঞান অর্জনকে অত্যন্ত মর্যাদার আসনে রাখা হয়েছে। কুরআনের প্রথম আয়াত নাজিল হয়েছিল “ইকরা” শব্দ দিয়ে যার অর্থ পড়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “বলুন, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞান বৃদ্ধি করুন” (সূরা ত্বাহা: ১১৪)। এই আয়াত মুসলমানদের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা যে জ্ঞান অর্জন একটি ইবাদত।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ” (ইবনে মাজাহ)। এই হাদিস দেখায় যে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ইসলামে শিক্ষার সমান গুরুত্ব রয়েছে।
ইসলাম শুধু ধর্মীয় জ্ঞান নয়, বরং চিকিৎসা, বিজ্ঞান, কৃষি, শিল্পসহ সব ধরনের উপকারী জ্ঞান অর্জনের প্রতি উৎসাহ দিয়েছে। ইসলামের ইতিহাসে ইবনে সিনা, আল-খওয়ারিজমি, আল-বিরুনির মতো বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদরা সেই নির্দেশনাই অনুসরণ করেছিলেন।
জ্ঞান অর্জন শুধু ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য নয়, বরং সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নতির পথ খুলে দেয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য একটি পথে চলে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন” (মুসলিম)।
আজকের সময়ে মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা গ্রহণ ও তা জীবনে প্রয়োগ করা। কারণ শিক্ষিত মানুষই নৈতিকভাবে দৃঢ় ও সমাজে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হয়।
ইসলামে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মর্যাদা অনেক উঁচুতে। একজন শিক্ষকের প্রতি সম্মান দেখানো এবং তার নির্দেশনা মেনে চলা শিক্ষার্থীর কর্তব্য হিসেবে গণ্য হয়। এটি সমাজে জ্ঞানী মানুষ তৈরি করে।
ধর্মীয় জ্ঞান যেমন নামাজ, রোজা, হজ ও যাকাতের বিধান শেখা অপরিহার্য, তেমনি দুনিয়াবি জ্ঞান যেমন প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য বা আইন শেখাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের লক্ষ্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
সবশেষে বলা যায়, জ্ঞান অর্জন মুসলমানদের ইমানকে শক্তিশালী করে, সমাজকে আলোকিত করে এবং রাষ্ট্রকে সমৃদ্ধ করে। তাই প্রত্যেক মুসলিমের উচিত নিয়মিত জ্ঞান অর্জন করা এবং তা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।