প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১০:৪৮
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনকে ইসলামে 'সপ্তাহের ঈদ' বলা হয়েছে। হাদীসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “সূর্য যেদিন উদিত হয় সেই দিনের মধ্যে শুক্রবার সর্বোত্তম। এই দিনেই আদম (আ.) সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়।” (মুসলিম, হাদিস ৮৫৪)
জুমার দিনে এক বিশেষ মুহূর্ত আছে, যখন বান্দার দোয়া কবুল হয়। নবী করিম (সা.) বলেন, “জুমার দিন এমন একটি সময় রয়েছে, যখন মুসলমান আল্লাহর নিকট কিছু চায়, তা আল্লাহ কবুল করেন।” (বুখারি, হাদিস ৯৩৫)
এই দিনে গোসল করা, পরিষ্কার পোশাক পরা, মিসওয়াক করা, জুমার নামাজে আগেভাগে মসজিদে যাওয়া, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং বেশি বেশি দরুদ পড়া অত্যন্ত পুণ্যময় কাজ।
হাদীসে এসেছে, “তোমরা এই দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পড়ো। কারণ তোমাদের দরুদ আমার নিকট পেশ করা হয়।” (আবু দাউদ, হাদিস ১৫৩১)
জুমার দিন সূরা কাহফ তিলাওয়াতের ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ পাঠ করে, তার দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় নূরে উদ্ভাসিত থাকবে।” (হাকিম, হাদিস ৩৩৯২)
জুমার দিনের কিছু আমল: (১) সকালেই গোসল করে পবিত্র হওয়া, (২) সুগন্ধি ব্যবহার করা, (৩) ভালো পোশাক পরিধান করা, (৪) আগে আগে মসজিদে যাওয়া, (৫) খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা, (৬) বেশি বেশি দরুদ পাঠ ও ইস্তিগফার করা।
এই দিনটি মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক। মসজিদে একত্র হয়ে জুমার নামাজ আদায় করা মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, সংহতি ও ইসলামের মহত্ত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
আসুন, আজকের পবিত্র জুমার দিনে আমরা নিজের জন্য, পরিবার, দেশ এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করি। আল্লাহ যেন আমাদের সকল গুনাহ মাফ করে দেন এবং জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।