ইসরায়েলি হামলায় প্রয়াত হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর দীর্ঘ সময় ধরে সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব শূন্য ছিল। অবশেষে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি শেখ নাঈম কাসেমকে তাদের নতুন প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছে। তিনি আগে উপমহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন এবং ইরান সমর্থিত এ গোষ্ঠীর মধ্যে তার অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) নাঈম কাসেমের নাম ঘোষণা করা হলে ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট তার এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে মন্তব্য করেন যে, নাঈমের নিয়োগ ‘সাময়িক’ এবং তার মেয়াদ দীর্ঘস্থায়ী হবে না। গ্যালান্টের এই মন্তব্যে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এক ধরনের হুমকি প্রকাশ পেয়েছে।
ইসরায়েল সরকারের দপ্তরিক আরবি ভাষার অ্যাকাউন্টেও বলা হয়েছে, যদি নাঈম কাসেম তার পূর্বসূরি হাসান নাসরুল্লাহ ও হাশেম সাফিউদ্দিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন, তাহলে তার মেয়াদ হিজবুল্লাহর ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত হতে পারে। এটি একটি ইঙ্গিত যে, ইসরায়েল হিজবুল্লাহর নতুন নেতৃত্বকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এদিকে, হিজবুল্লাহ নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে সংগঠনটির স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে তার ভূমিকা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন প্রধান হিসেবে শেখ নাঈম কাসেমের অভিষেকের ফলে সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম এবং লেবাননের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান হিসেবে কাসেমের প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে গোষ্ঠীটির কার্যক্রমে। তিনি কি ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে নতুন কৌশল অবলম্বন করবেন, সেটাও দেখা উচিত।
এখন দেখা যাক, কাসেমের নেতৃত্বে হিজবুল্লাহ কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যায় এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা কৌশলগুলি কিভাবে পরিবর্তিত হয়। এই নতুন পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।