বরিশাল-ঢাকা নৌপথে যাত্রীবাহি নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নৌপথের বিভিন্ন স্থানে ডুব চরে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে নৌ চলাচল। এ কারনে যাত্রীবাহি নৌযান চলাচলে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন নৌযান মাস্টাররা। বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা বলছেন বরিশাল-ঢাকা নৌপথকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নাব্যতা বহাল রাখতে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভাগের ২০টি নদীর ৪৭টি পয়েন্ট থেকে ৩০ লাখ ঘণমাটির ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে ড্রেজিং কাজ শেষ করা হবে।
সূত্রমতে, নিরাপদ ও তুলনামূলক কম ভাড়া হওয়ায় বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করেন নৌ পথে। প্রায় ১৬০ নটিক্যাল মাইল দীর্ঘ বরিশাল-ঢাকা নৌ পথকে নৌ রুটের প্রাণ বলা হয়। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে নাব্যতা সংকটের কারনে নৌ পথের প্রাণ এখন যায় যায়।
সুরভী-৭ লঞ্চের মাস্টার আবুল কালাম আজাদ জানান, বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে চলাচলের জন্য তিনটি চ্যানেল (পথ) রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান নৌ পথ হিজলার মিয়ারচর চ্যানেল (পথ) দিয়েই চলাচল করত বেশীর ভাগ নৌযান। সাম্প্রতিক সময়ে নাব্যতা সংকটের কারনে প্রধান নৌ পথে যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে তারা মুলাদী চ্যানেল ব্যবহার করতে শুরু করে। কিন্তু ওই চ্যানেলেও (পথ) ডুবচরের কারনে নৌ চলাচল ব্যহত হয়। তিনি বলেন, দূরত্ব বেশী হলেও বাধ্য হয়ে তৃতীয় বিকল্প নৌপথ উলানিয়া কালিগঞ্জ চ্যানেল ব্যবহার করতে শুরুর করে তারা। কিন্তু ওই চ্যানেলেও ডুবচরের কারনে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। ওই চ্যানেল নাব্যতা সংকটের কারনে পণ্যবাহী নৌ যান আটকে থাকায় অনেকটা ঝূঁকি নিয়েই চলছে বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ। এতে যে কোন সময় দূর্ঘটনার আশংকা করছেন তারা।
পারাবত লঞ্চের মাস্টার মো. ফেরদাউস জানান, বিভিন্ন সময় চ্যানেল গুলো ড্রেজিং করা হলেও নদীর পলি কেটে আবার ফেলা হয় নদীতে। এ কারনে কাজের কাজ কিছুই হয় না। তারা নৌ পথটি নিরাপদ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিআইডব্লিউটিএ এর বরিশালের যুগ্ম পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, বরিশাল-ঢাকা নৌপথকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী করা হচ্ছে ড্রেজিং। চলতি বছর বরিশাল বিভাগের ২০টি নদীর ৪৭টি পয়েন্টে নদীর নাব্যতা বাড়াতে ৩০লক্ষ ঘন মিটার পলি মাটি অপসারণ করবে বিআইডব্লিউটিএ।
সূত্রমতে, প্রথমে ঢাকা-পটুয়াখালী রুটের তিনটি, ইলিশা মজুচৌধুরীর হাট রুটে চারটি, তুষখালী রুটের একটি, লালমোহন-নাজিরপুর রুটে একটি, ভোলা-খেয়াঘাটের একটি, বরিশাল বন্দরের একটি, পাতারহাটে একটিসহ মোট ১২টি পয়েন্টে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করা হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অন্য পয়েন্টগুলোতে ড্রেজিং করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।