ঝুঁকি আর দুর্ভোগ নিয়েই ঘরে ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২০শে জুলাই ২০২১ ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
ঝুঁকি আর দুর্ভোগ নিয়েই ঘরে ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

ঈদযাত্রায় দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় করা হলেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষা, মহাসড়কে লেগে রয়েছে দীর্ঘ যানজট। 




করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে এতসব দুর্ভোগ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো হয়েছেন মানুষ। আজ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। 




তিনদিনের ছুটি শেষে শুরু দেশব্যাপী শুরু হবে ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ। যাতে বন্ধ থাকবে সব ধরনের অফিস-আদালত। আর এ কারণেই শত দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে নারীর টানে বাড়ি যাত্রা করেছেন দক্ষিনাবাসী। সোমবার শেষ কর্মদিবস হওয়ায় সন্ধ্যা থেকেই সড়কে মানুষের চাপ বাড়তে থাকে। 




মঙ্গলবার সকালেও একই দৃশ্য। সেই সঙ্গে মহাসড়কে যানবাহনের চাপও বেড়েছে। পাশাপাশি ভাঙ্গা রাস্তা, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, গবাদি পশুবাহী ট্রাক চলাচল ও গরুর হাটের কারণে যানজট তীব্র থেকে আরও তীব্র হয়েছে। করোনার কারণে ঈদুল ফিতরে গ্রামের বাড়ি যাননি ঢাকায় বসবাস করা অনেক বাসিন্দারা। 




তবে মা- সন্তানদের সঙ্গে কোরবানি ঈদ পালন করতে যাচ্ছেন অনেকেই। মঙ্গলবার নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে বাসে জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে হাজারও মানুষকে। কবির নামে বাসের এক যাত্রী বলেন, সকালেই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি। বাস ছাড়ার কথা ছিল সকাল ৫ টায়। কিন্তু মহাসড়কে যানজটের কারণে এখনো গাড়ি টার্মিনালে আসতে পারেনি। জানি না কখন আসবে! 




এদিকে যাত্রার আগে বাসগুলোতে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও বরিশালের নথুল্লাবাদ ও রুপাতলী বাস টার্মিনালে এ দৃশ্য নজরে পড়েনি। সেই সঙ্গে বাসে প্রবেশের মুখে যাত্রীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছেনা। 





এ বিষয়ে বরিশাল বাস মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, আমরা সব মালিক ও কোম্পানিকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি, তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পরিবহন পরিচালনা করেন। যে বাস মালিক আইন লঙ্ঘন করে পরিবহন পরিচালনা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অনুরোধ করেছি তারা যেন সড়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। 





অণ্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি বলে যে একটা শব্দ আছে সেটি বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে বোঝা যায় না। স্বাস্থ্যবিধির সর্বোচ্চ লঙ্ঘন করে লঞ্চের ডেকে ছাদে যাত্রী নিয়ে সদরঘাট থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে ছেড়ে আসছেন লঞ্চ। যদিও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে অতিরিক্ত ৩০টি লঞ্চ সংযোজন করা হয়েছে।




মঙ্গলবার (২০ জুলাই) বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে ঘুরে দেখা যায়, ঈদ যাত্রার শেষে মুহূর্তে হাজার হাজার মানুষ গভীর রাত থেকেই জড়ো হতে থাকেন লঞ্চ টার্মিনালে। অনেক যাত্রী আগেই লঞ্চে উঠে জায়গা দখল করে রাখছেন বলে জানা জানিয়েছেন যাত্রীরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। 




কয়েকটি লঞ্চের অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হলেও ঘাট ছেড়ে যায়নি। তবে সচেতন নাগরিকদের প্রশ্ন পরিবহন অথবা লঞ্চে কোথায় স্বাস্থ্যবিধি মানছে। লঞ্চযাত্রীদের মুখে মাক্স নেই বলেই চলে। 




এবার দক্ষিঞ্চলের গ্রামঞ্চলে এবার দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আশা মানুষগুলোই করোনা ছড়াবে। তবে প্রশাসনের এদিকে কঠোর নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।