বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘূচাপের প্রভাবে কীর্তনখোলা নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বরিশালের বেলতলা ফেরীঘাটে গ্যাংওয়ে। দীর্ঘদিন যাবৎ বেলতলা-চরমোনাই রুটের কীর্তনখোলায় বেলতলা ফেরীঘাট চালু হলেও উন্নতমানের গ্যাংওয়ে নির্মাণ না হওয়ায় জোয়ার এলেই তলিয়ে যায় গ্যাংওয়ে।
ফলে ভোগান্তিতে পড়ে ছোট ছোট যানবাহন ও সাধারণ মানুষ। লকডাউনের কারণে মানুষ বা যানবাহন চলাচল কম থাকলেও জরুরী প্রয়োজনে ট্রলারে পারাপার হওয়া যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সূত্রমতে, গত শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘূচাপের প্রভাবে একদিকে যেমন বৃষ্টি অন্যদিকে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বরিশালের নিন্মাঞ্চল তলিয়ে গেছে। বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
বিশেষ করে বরিশালে পলাশপুর, চরআবদানীসহ নদীর পাড় ঘেষা এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সব এলাকার বাসিন্দারা।
সরেজমিনে বেলতলা ফেরীঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, জোয়ারের পানিতে ফেরীঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। লকডাউনের মধ্যে মানুষের চলাচল কম থাকলেও জরুরী কাজে বের হওয়ার সাধারণ মানুষ ফেরীঘাটে এসে দুর্ভোগে পড়েছে।
চরমোনাই থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে আসা মেহেদী হাসান জানান, তার অসুস্থ বাবাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয়েছেন।
ফেরী চলাচল বন্ধ, ওদিকে লকডাউনের কারণে ট্রলারও তেমন একটা চলছেনা। যাও চলছে ফেরীঘাটের গ্যাংওয়ে বন্ধ থাকায় ট্রলার এসে নদীর পাড়ে থামিয়ে যাত্রী ও মোটরসাইকেল তুলছে। ট্রলারে মোটরসাইকেল তুলতে গিয়ে তারা মোটরসাইকেলের মারগাটটি ভেঙে গেছে।
মোতাহার নামে এক ট্রলার চালক জানান, লকডাউনের কারণে কোস্টগার্ড এসে এখান থেকে একটি পারাপারের ট্রলার নিয়ে গেছে। তাই তারা নিয়মিত ট্রলার চালাচ্ছেন না।
এ সময় পারাপারের অপেক্ষায় থাকা প্রায় জনা ৩০ এর মতো বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষকে ট্রলারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার প্রণব কুমার রায় জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘূচাপের কারণে নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া নৌবন্দরগুলোকে ১নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।