খালিয়া সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ধীরগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: রবিবার ২৯শে আগস্ট ২০২১ ১০:২৩ অপরাহ্ন
খালিয়া সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ধীরগতি

আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিল্ডিং নির্মাণ কাজে ধীর গতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু করা হলেও এখনো বিল্ডিংয়ের নিচে বালু ভরাট ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি। 


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান জানান, স্কুলের মূল ভবনের বিভিন্ন অংশ  ভেঙে পড়ায় ২০১১ সালের পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর অতিকষ্টে গোলপাতা দিয়ে ঘর নির্মাণ করে কোন রকমে স্কুল পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে সেটিও ভেঙে গেলে শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ১টি সেমি পাকা টিনের ছাউনিযুক্ত তিন রুম বিশিষ্ট শ্রেণি কক্ষ নির্মান করা হয়। 


বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনের পর এলজিআরডি দপ্তর থেকে ৭৫ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকায় ৪তলা ফাউন্ডেশন এর একতলা ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সেকেন্দার এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী মুকুল হোসেন কাজ পান। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু করা হয়। দীর্ঘ দেড় বছর অতিক্রান্ত হলেও ভবন নির্মানের জন্য মাটির নিচে বালু দ্বারা ভরাট ছাড়া অন্য কোন দৃশ্যমান কাজ আজও করা হয়নি। এমনকি বিল্ডিং নির্মানে সরকারি প্রকল্প ব্যয় সম্বলিত কোন সাইনবোর্ড স্থাপন হয়নি। ফলে এলাকাবাসী অন্ধকারে রয়ে গেছে বিদ্যালয়ের কাজের তথ্য সম্পর্কে। অন্যদিকে বিল্ডিং এর কাজে ব্যবহারের জন্য রড, বালি অবহেলায় সাথে ফেলে রাখা হয়েছে। বৃষ্টির পানির মধ্যে পড়ে আছে এসব সামগ্রী। রড গুলো মরিচা ধরার অবস্থা। এ রড দিয়ে কাজ করলে বিল্ডিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। 


তাছাড়া, মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রয় করেছে বলে প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন। অভিভাবক সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর আবারও স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা করছেন সরকার। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়ে কি করবো সে চিন্তায় রয়েছি আমরা। বিদ্যোৎসাহী সদস্য সাংবাদিক নুরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন বিল্ডিং এর কাজটি পড়ে থাকায় বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোন ও লাভ হয়নি। দ্রুত বিল্ডিং নির্মাণের দাবি জানান তিনি। 


তবে মের্সাস সেকেন্দার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুকুল হোসেন জানান, কাজটি আমি অন্যের কাছে বিক্রি করিনি। বালু ইতিমধ্যে সেখানে পাঠানো হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই এটি শেষ করা হবে বলে তিনি জানান। 


আশাশুনি উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস সেকেন্দার এন্টারপ্রাইজকে বারবার তাগাদা দিচ্ছি। তারা বিভিন্ন ভাবে ওয়াদা করার পরও কাজটি শুরু করছে না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে। তারা যদি দ্রুত কাজ শুরু না করে তাদের লাইসেন্স এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে পূনরায় টেন্ডার দেওয়া হবে।