রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে রাজধানী ফেরত যানবাহনের চাপ অব্যাহত রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষায় থাকা ঢাকামুখী যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের। ট্রাকচালকদের পদ্মা নদী পার হতে ৩০ মিনিটের পথ পেরুতে লাগছে প্রায় ১২-১৫ ঘন্টা। আবার যাত্রীবাহী বাসকে ৪-৫ ঘন্টা অপেক্ষা করে পেতে হচ্ছে ফেরির নাগাল।
(বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলে মোট ১৯টি ফেরি দিয়ে নিয়মিত যানবাহন পারাপার হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ২টি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে পাটুরিয়ার ভাসমান মধুমতি ডর্কএয়ার্ডে মেরামতে রয়েছে। এছাড়াও শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল এখনো স্বাভাবিক না হওয়ায় যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। ওই রুটের অধিকাংশ পণ্যবাহী গাড়ি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করছে। ফলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ পড়ছে।
ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত কাল শনিবার থেকে আজ রবিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরিগুলো ২০৬টি ট্রিপে বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়া গেছে। যার মধ্যে যাত্রীবাস রয়েছে ৬১৫টি, ট্রাক ১২৮১টি, ছোট বা ব্যক্তিগত যানবাহন ১৮৩১টি। সব মিলিয়ে ৩৭২৭টি যানবাহন দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে পার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছায়।
সরেজমিনে রবিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ওয়াজেদ চৌধুরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার লম্বা লাইনে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের দীর্ঘ সারি রয়েছে। তবে এ যানজটে যাত্রীবাহী বাসের লাইন রয়েছে ১ কিলোমিটার।
খুলনা থেকে আসা চাউল বোঝাই ট্রাক চালক কামরুল ইসলাম বলেন, শনিবার গতরাত ১২ টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে আটকা পড়ি। দীর্ঘ ১২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখানে ফেরির দেখা পেলাম না। তিনি আরো বলেন, ঘাটে গাড়ির চাপ থাকলেও ঘাটসংকট রয়েছে। মাত্র তিন-চারটি ঘাট দিয়ে এত গাড়ি সহজে পারাপার করা কোনমতেই সম্ভব নয়। মাত্র আধা ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে আমাদের লাগছে ১২-১৫ ঘন্টা।
ঢাকাগামী জেআর পরিবহনের শাহ্ ফরিদ নামের এক যাত্রী বলেন, প্রচন্ড গরমে ৩ ঘন্টা বাসের মধ্যে বসে আছি। জরুরী কাজের জন্য ঢাকায় যাচ্ছি। কখন যে ফেরি পার হবো বলতে পারছিনা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, ১৯টি ফেরির মধ্যে ২টি ফেরি মেরামত থাকায় ও ফেরিঘাট সংকট থাকায় যানবাহনের জট তৈরি হয়েছে। বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। আমরা ভোগান্তি ও যানজট কমাতে সর্বক্ষণ চেষ্টা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।