প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৫১
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদের আলোচনার অবস্থান বিকৃতভাবে উপস্থাপনের অভিযোগ তুলেছে। একইসঙ্গে হামাস দাবি করেছে, যুদ্ধবিরতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থী মন্ত্রিসভা।
শনিবার (২৬ জুলাই) ইরানি সংবাদ সংস্থা মেহর নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশক এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য তাদের প্রকৃত অবস্থানকে বিকৃত করেছে এবং তা শান্তি প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
তিনি বলেন, “আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার বিশেষ দূত অ্যাভি উইটকফের সাম্প্রতিক বক্তব্যে বিস্মিত। এই বক্তব্যগুলো বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং মধ্যস্থতাকারীদের মূল্যায়নের সাথেও সাংঘর্ষিক।”
রিশক আরও বলেন, “আমরা যুদ্ধবিরতি চুক্তির পক্ষে আন্তরিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু বারবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে আলোচনার পরিবেশকে দুর্বল করছে।”
এর আগে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে হামাসকে যুদ্ধবিরতির ব্যর্থতার জন্য দায়ী করে বলেন, “এই গোষ্ঠী এখন শিকার হবে।” ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে রাজনৈতিক চাপ তৈরির কৌশল বলে অভিহিত করছে হামাস।
হামাসের মতে, ইসরাইলি মন্ত্রিসভা বিশেষ করে উগ্র ডানপন্থী সদস্যদের কারণে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় স্থবিরতা এসেছে। তারা কোনো শান্তিচুক্তি চায় না, বরং গাজা উপত্যকার ওপর আরও নিষ্ঠুর হামলার পথ খুঁজছে।
এই পরিস্থিতিতে হামাস আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে প্রকৃত সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করে এবং একতরফা দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হামাসের এই বিবৃতি প্রমাণ করে যে গাজা সংকট নিয়ে আলোচনা এখনও জটিল অবস্থায় রয়েছে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে আস্থার অভাবই মূল অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।