প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৭:১৯
নির্বাচনের ভয়ে যারা রাজনীতি করতে চায়, তাদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতি করতে হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতেই হবে। রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে ‘জুলাই বিপ্লবের এক বছর’ উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু বলেন, যারা নির্বাচনে যেতে ভয় পায়, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। তারা চাইলে প্রেসার গ্রুপ বা এনজিও হিসেবে কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, আপনি রাজনীতি করবেন অথচ নির্বাচনে যাবেন না—এই মনোভাব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকিস্বরূপ। নির্বাচনকে এড়িয়ে গিয়ে কেউ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প পথ নেই।
আলোচনায় আমীর খসরু বলেন, ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, যেসব দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে, সেখানে বিভাজন, গৃহযুদ্ধ এবং শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার নজির রয়েছে। বিপরীতে যেসব দেশ দ্রুত নির্বাচন করে গণতন্ত্রে ফিরে গেছে, তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে অগ্রগতি অর্জন করেছে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশে একাধিক রাজনৈতিক দল ও ভিন্নমত থাকবেই। সেটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে আমাদের ঐকমত্য থাকতে হবে। রাজনৈতিক আদর্শে মতানৈক্য থাকলেও একে অপরের প্রতি সহনশীলতা জরুরি।
তিনি বলেন, দ্বিমত থাকলেও পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা প্রয়োজন। সাংঘর্ষিক রাজনীতি কখনো জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। বরং ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করেই গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যেতে হবে।
সভায় আমীর খসরু আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন মনস্তত্ত্বগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। স্বৈরাচারী হাসিনার বিদায়ের পর জনগণের মধ্যে আশাবাদ ফিরে এসেছে। যারা এখনো এই পরিবর্তনকে উপলব্ধি করতে পারছে না, তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই।
পরিবর্তন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে এখন দরকার একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। সেই লক্ষ্যেই সব রাজনৈতিক শক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে।