প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৯
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইসরাইল। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এমন কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গড়ে উঠতে দেবে না, যা ইসরাইলের নিরাপত্তা ও ঐতিহাসিক অধিকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার পরই এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রতিক্রিয়া জানান ইসরাইল কাটজ। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার নামান্তর এবং এটি ইসরাইলি জনগণের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের নামে এমন এক শক্তি সৃষ্টি হবে, যা আমাদের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলবে এবং আমাদের মাটিতে আমাদের ঐতিহাসিক অধিকার লঙ্ঘন করবে। তিনি একে "সন্ত্রাসীদের কাছে লজ্জাজনক আত্মসমর্পণ" বলে উল্লেখ করেন।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এই স্বীকৃতির কঠোর বিরোধিতা করেছেন। তিনি ম্যাক্রোঁর অবস্থানকে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহ দেওয়া এবং একটি নতুন ইরানি প্রক্সি তৈরি করার ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন। নেতানিয়াহুর মতে, এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানকে আরও জটিল করে তুলবে।
অন্যদিকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সেপ্টেম্বর অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তার মতে, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং সেখানে বেসামরিক মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে এবং ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে। এই প্রসঙ্গে গাজার নিরাপত্তা ও পুনর্গঠনকেও অত্যন্ত জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল ম্যাক্রোঁ ফ্রান্সের পক্ষ থেকে জুন মাসেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও চূড়ান্ত ঘোষণা আসে ২৪ জুলাই রাতে।
এর আগেই ২০২৪ সালে আয়ারল্যান্ড, স্পেন এবং নরওয়ে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৮৮ সালে এই স্বীকৃতি দিয়েছিল, যার উত্তরসূরি হিসেবে রাশিয়া এখনো সেই অবস্থানে অটল।