প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ২২:১
সরকারি চাকরিজীবীদের আচরণ ও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। চারটি নির্দিষ্ট অপরাধে সরাসরি চাকরিচ্যুতির বিধান রেখে 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫' জারি করা হয়েছে। রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই অধ্যাদেশ জারি করেন।
সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই বিক্ষোভ করেন এবং বিষয়টিকে সরকারি কর্মচারীদের অধিকারের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন।
তবে সরকার এই পদক্ষেপকে সরকারি কর্ম পরিবেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দায়িত্ব পালনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে দেখছে। নতুন বিধানে বলা হয়েছে, যদি কোনো সরকারি কর্মচারী এমন কোনো কাজ করেন যা অন্য কর্মচারীদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, তাহলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে।
এছাড়া, যৌক্তিক কারণ ছাড়া অনুপস্থিত থাকা, সমবেতভাবে কর্ম বিরতিতে যাওয়া, দায়িত্ব পালন না করা অথবা অন্যকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে উসকানি দেওয়াও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
এইসব অপরাধ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত অথবা নিম্নপদে অবনমনের মতো শাস্তি প্রয়োগ করা যাবে বলে অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংশোধিত অধ্যাদেশের ফলে সরকারি দপ্তরগুলোতে অধিকতর নিয়মানুবর্তিতা এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।
তবে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়াও উপেক্ষা করার নয়। সচিবালয় কেন্দ্রিক বিভিন্ন সংগঠন ও কর্মচারী ফোরাম এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ তদন্ত, প্রমাণ এবং আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে যেন কেউ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন।