প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১২:৪৫
চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সম্প্রতি নানা গুঞ্জনের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দেওয়া হচ্ছে না, বরং বিশ্বমানের ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান করা হয়েছে।
রোববার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ক্যাপিটাল মার্কেট সাংবাদিক ফোরামের সিএমজেএফ টক অনুষ্ঠানে প্রেস সচিব বলেন, বিশ্বের বড় কোম্পানিগুলো যাতে টার্মিনাল ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ করে, সেই পরিকল্পনা নিয়েই অগ্রসর হচ্ছে সরকার। তবে মালিকানা স্থানান্তরের কোনো প্রশ্নই আসে না বলে তিনি পরিষ্কার জানান।
শফিকুল আলম আরও জানান, ইতোমধ্যে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আশ্বাস পেয়েছে সরকার, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গেও প্রেস সচিব মন্তব্য করেন। তিনি জানান, আগামী ৩০ জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সরকার এই সময়সীমার বাইরে যাবে না। পাশাপাশি বলেন, এই সরকারের দায়িত্ব শুধু নির্বাচন নয়, বরং সংস্কার ও বিচারব্যবস্থাকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে চলমান বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে ১৪ মে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিদর্শনের পর। তিনি বন্দরের অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং ব্যবস্থাপনায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের অভাব তুলে ধরেন এবং বলেন, অর্থনীতির হৃদপিণ্ড এই বন্দরকে যুগোপযোগী করতেই হবে।
তাঁর এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় আলোচনার ঝড়। বিরোধী দলসহ বিভিন্ন সংগঠন বন্দরের মালিকানা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং কিছু সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করে।
তবে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রেস সচিবের এই ব্যাখা বন্দরের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি সংশয় অনেকটাই দূর করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিনিয়োগ ও উন্নয়ন হোক, তবে সার্বভৌম স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে—এটাই এখন সাধারণ নাগরিকদের প্রধান প্রত্যাশা।
চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সরকারের এই অবস্থান ভবিষ্যতে আরও পরিস্কার হতে পারে, যখন বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনাগুলো বাস্তবে রূপ পাবে।