প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১৯:১৬
দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। রোববার বিকেলে রাজধানীর যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। বিকেল ৫টার দিকে প্রধান বিচারপতি যমুনায় প্রবেশ করেন এবং অর্ধঘণ্টার আলোচনা শেষে সাড়ে ৫টার দিকে স্থান ত্যাগ করেন।
এই বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সমন্বয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই বৈঠক এমন এক সময়ে হলো, যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন।
বিকেলে প্রথম দফায় কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জুনায়েদ সাকীসহ একাধিক দলের নেতারা যমুনায় প্রবেশ করেন। তাঁদের সঙ্গে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে সমন্বিত পথনির্দেশ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এই বৈঠক দেশের রাজনীতিতে একটি বৃহৎ ঐক্যের বার্তা বহন করছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় ইসলামি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এই দলে ছিলেন মাওলানা মামুনুল হক, নুরুল হক নূরসহ একাধিক পরিচিত মুখ। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসা সরকারের একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এর আগের দিন শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সব মিলিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি নিরপেক্ষ, সবার অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে এই বৈঠকগুলোকে কেন্দ্র করে এখন আলোচনা উঠেছে একটি সর্বসম্মত রোডম্যাপ তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে। বিভিন্ন মহল মনে করছে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সব পক্ষকে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি তৈরি করতে যাচ্ছে। এটি দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে একটি ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।