প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ২২:১৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং দেশের স্বার্থ রক্ষায় অটল অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে নির্বাচিত সরকারের ভূমিকা থাকা উচিত। তিনি আরও বলেন, জামায়াত দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাবের পক্ষে নয়।
ডা. শফিকুর রহমান জানান, গত শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচনের বিষয় আলোচনা হয়েছে এবং জাতীয় নির্বাচনের অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে ভোট প্রদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হবে এবং কেউ আরেকজনের পক্ষ থেকে ভোট দিতে পারবে না বলে আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, বৈঠকে মানবিক করিডর না দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের প্রতি তাদের অবস্থান জানানো হয়েছে।
তিনি চা শ্রমিকদের অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তায় গুরুত্ব দিয়েছেন। দেশের সকল নাগরিকের মতো চা শ্রমিকরাও সমান অধিকার প্রাপ্য, যা এখনও অনেকাংশেই বাস্তবায়িত হয়নি। যদি জনগণের ভোটে জামায়াত দায়িত্ব পায়, তাহলে শ্রমিকদের সম্মানের সঙ্গে বসবাসের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে এবং তাদের সন্তানদের শিক্ষা ও প্রতিভার বিকাশে সহায়তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি, চা শ্রমিকদের শিক্ষিত করে আধুনিক বাগান ব্যবস্থাপনায় যুক্ত করার পরিকল্পনা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করে দেখেনা, বরং একটি বন্ধুপ্রতিম সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে। তিনি চা শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, তাদের ডাক পেতে সময় লাগতে পারে, কিন্তু তাদের পাশে দাঁড়াতে জামায়াত দ্রুত পৌঁছে যাবে। তিনি সবাইকে দেশের মালিক মনে করে ঐক্যের আহ্বান জানান।
সভায় উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিম সভাপতিত্ব করেন। কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগরীর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির প্রকৌশলী এম. সায়েদ আলী, অন্যান্য জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দেশব্যাপী গণসংযোগের অংশ হিসেবে আমির ডা. শফিকুর রহমান মৌলভীবাজারে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অংশ নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চা শ্রমিক, মহিলা ও দলের দায়িত্বশীলরা এতে অংশগ্রহণ করেন।