প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১৬:২৪
আসন্ন ঈদ উল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পর মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রোববার এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রথম দিনেই প্রায় ৯০ শতাংশ কোরবানি সম্পন্ন হয়, বাকিটা দুদিনে ধীরে ধীরে হয়। তাই ঈদের প্রথম দিন থেকেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। দেশের সকল প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করা হয়।
এবার ঈদ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২০টি কোরবানির পশুর হাট বসানো হবে। এসব হাটে জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দিকটি নিশ্চিত করতে আনসার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
গরুর হাটে যাতে অসুস্থ পশু বিক্রি না হয় সে জন্য প্রতিটি হাটে চিকিৎসকের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। শুধু পশুর জন্য নয়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেও থাকছে আলাদা টিম।
চামড়া নিয়ে প্রতিবছর যেসব অনিয়ম দেখা যায়, তা রোধে নেওয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘চামড়া গরিব মানুষের হক। আমরা চাই তারা নায্য দাম পাক।’ এ বছর যেন চামড়ার দাম ঠিকভাবে নির্ধারিত থাকে এবং অসাধু ব্যবসায়ীরা সুবিধা নিতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারি থাকবে।
হাসিল হার নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। উপদেষ্টা জানান, বর্তমান ৫ শতাংশ হাসিলকে অনেক বেশি বলে মনে করছেন তারা। ভবিষ্যতে এটি ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে।
সরকার চায় পশুর হাট এবং কোরবানির প্রক্রিয়া যেন পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। ঈদের আনন্দ যেন বিশৃঙ্খল পরিবেশে ম্লান না হয়, সে লক্ষ্যেই প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতায় আছে।
এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন হলে এবার কোরবানির ঈদ হবে আরও নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং পরিবেশবান্ধব, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।