চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন সোমবার (৫ মে) আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। শুনানিতে চিন্ময় দাস ভার্চুয়ালি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই দিন আদালত প্রাঙ্গনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যেখানে আইনজীবী আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার চার দিন পর আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই সময়ে আলিফের ভাই আরও ১১৬ জনকে আসামি করে আলাদা মামলা করেন।
রোববার (৪ মে) পুলিশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করে। চারটি মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে কোতোয়ালি থানার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরদিন আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গনে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। চিন্ময়কে বহনকারী প্রিজন ভ্যান প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় আলিফের পরিবার দুটি মামলা দায়ের করে, যার একটিতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতের সামনে সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলাগুলো ন্যায়বিচারের দাবিতে চলছে।