প্রকাশ: ৪ মে ২০২৫, ২০:৫
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের নামে থাকা ১৯০টি বাস জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বাসগুলো তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে এবং তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এনা পরিবহন ও স্টারলাইন স্পেশাল লিমিটেডের নামে নিবন্ধিত ছিল।
রোববার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে এ আদেশ দেন। দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান এ বিষয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে প্রতিদিন বাস থেকে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে তদন্ত চলছে। এ অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছে দুদক। তদন্তে দেখা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে এসব বাস রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।
দুদকের মতে, এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা ওই যানবাহনগুলো বিক্রি করে অথবা মালিকানা হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে আদালতের অনুমতিতে এসব বাস জব্দ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়।
আদালত পর্যালোচনা শেষে দুদকের আবেদনের পক্ষে রায় দেন এবং যানবাহনগুলো জব্দের অনুমতি দেন। জব্দের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জনপ্রিয় এনা পরিবহন ও স্টারলাইন স্পেশাল লিমিটেড।
এদিকে, এর আগেই গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একই আদালত খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন।
এই মামলাটি সামনে আসার পর পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ নতুন করে আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে পরিবহন খাতের দুর্নীতি তদন্তে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।