প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৫৯
দেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ হওয়া ১৭ হাজার ৭৭৭ জন শ্রমিকের দায় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর ওপর বর্তেছে বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্ধারিত প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় এজেন্সিগুলোর অবহেলার কারণেই এ বিপুল সংখ্যক শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। যদিও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় শাস্তির সুপারিশ করেছে, এখনো কোনো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়নি।
আদালত এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে জানতে চেয়েছেন, সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা শ্রমিকদের অর্থ ফেরত প্রদান এবং তাদের বিদেশ যাত্রার অগ্রগতির বিস্তারিত তথ্য ২৭ আগস্টের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ছয় বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের আগস্ট মাসে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য আবারও উন্মুক্ত হয়। এ সুযোগে ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন।
তবে টিকিট জটিলতাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক সমস্যার কারণে অন্তত সাড়ে ১৭ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ হন। এই ব্যর্থতার জন্য মূলত দায়ী করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অসচেতনতা ও ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে।
এখন শ্রমিকরা তাদের হারানো সময় ও অর্থের ন্যায্য প্রতিকার চেয়ে সরকারের সদয় হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দেশের শ্রমবাজার ও রিক্রুটিং ব্যবস্থার ওপর নতুন করে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরো জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত, যখন আদালতে এ বিষয়ে পরবর্তী প্রতিবেদন দাখিল হবে।