প্রকাশ: ৫ মে ২০২৫, ১৬:৪১
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। এক মাত্র ছেলের অকাল মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছেন বাবা হাবিল মিয়া। হাবিল মিয়া, যিনি আগে ছিলেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক, ২০১৯ সালে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। চিকিৎসার জন্য জমি এবং বসতভিটা বিক্রি করেও তিনি কোনও সাফল্য পাননি। সেই সময়ে পরিবারের হাল ধরতে তার একমাত্র ছেলে শরিফ মিয়া ২০২৪ সালে এইচএসসি পাস করে একটি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন। তবে পুত্রের আয়েই পরিবারের জীবিকা চলছিল।
একের পর এক দুঃখের পরিপ্রেক্ষিতে হঠাৎ ৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে শরিফ মিয়া স্ট্রোক জনিত কারণে মারা যান। সন্তানের অকাল মৃত্যুতে বাবা হাবিল মিয়া পাগলের মত রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার শোক এবং কষ্টের কোনো সীমা নেই। স্ত্রীর চোখেও অশ্রু, কারণ তিনি জানেন, এই দুর্ঘটনা পরিবারের ওপর যে গভীর অন্ধকার নেমে এসেছে তা তাদের জীবনের জন্য এক কঠিন পরীক্ষা।
হাবিল মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম জানান, তার স্বামী কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং তাদের দুটি মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হলেও দুজনেই অসুস্থ। চিকিৎসা ও মেয়েদের বিয়ে দিতে প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকার প্রয়োজন। তাদের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তারা সমাজের সহানুভূতিশীল মানুষের সাহায্য কামনা করছেন।
সাহায্য পাঠানোর জন্য সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর হেডকোয়ার্টার শাখার হিসেব নম্বর ০২১৪৭০১০২৪৭১২ এবং ডাস্ বাংলা মোবাইল হিসেব নম্বর ০১৭৪৫৬৪০৯০৭-৬ এ সাহায্য পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। অসহায় পরিবারটি সমাজের হৃদয়বান মানুষের সাহায্যের অপেক্ষায় রয়েছে, যাতে তাদের পরিবারটি আগামী দিনে কিছুটা হলেও স্বস্তি লাভ করতে পারে।