মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সফল অভিযানে মোহাম্মদ আলমের দায়িত্বশীলতা

বরিশালের হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় সদ্য সমাপ্ত অভয়াশ্রমের (মার্চ-এপ্রিল) দুমাসের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম। তিনি জানান, মৎস্য সম্পদ রক্ষা করতে তিনি একাই কাজ করেননি, বরং সংশ্লিষ্ট সকল বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেছেন। অভিযান চলাকালীন, তিনি অবৈধভাবে মৎস্য শিকার রোধে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেছেন। মৎস্য অফিসার আলম জানান, ‘‘এটি শুধুমাত্র একটি দায়িত্ব নয়, এটি দেশের রূপালী সম্পদ রক্ষায় অংশগ্রহণ।’’

অভিযান চালানোর সময় মৎস্য অধিদপ্তর, হিজলা থানার পুলিশ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড হিজলা, হিজলা নৌপুলিশ এবং মেহেন্দিগঞ্জ, কাজিরহাট থানার সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি। বিশেষভাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইলিয়াস সিকদারের অবদান। এসব সহযোগিতার ফলে, মৎস্য সম্পদের রক্ষায় একযোগে কাজ করতে পেরেছেন তারা। তিনি জানান, ‘‘এখানে জেলেরা মৎস্য শিকারকে জীবিকার প্রধান উপায় হিসেবে গ্রহণ করে, তাই অভিযান চালানোর সময় তাদের আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে, তবুও থেমে থাকিনি।’’

অভিযানে অবৈধ মৎস্য শিকারি জাল ও সরঞ্জাম ধ্বংস এবং মৎস্য পোনা অবমুক্ত করার পাশাপাশি, জব্দকৃত মাছ বিতরণ করা হয়েছে বিভিন্ন এতিমখানা, মাদ্রাসা এবং দুস্থদের মধ্যে। জব্দকৃত পাইজাল, বেহুন্দী জাল, গলদা রেণু ধরার জাল, কারেন্ট জাল, ও ইলিশ জালের সুতাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে। ১২ হাজার পাঙ্গাশের পোনা এবং ৭৫ মণ জাটকা সহ নানা মাছ বিতরণ করা হয়েছে, যা বিভিন্ন এলাকার মানুষদের উপকারে এসেছে।

মোহাম্মদ আলম আরও জানান, মৎস্য সম্পদ রক্ষা করতে তাদের প্রচেষ্টা সফল হলেও, এ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ করা। এজন্য তিনি সকল নাগরিকদের সম্পদের রক্ষা করতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তার এই দায়িত্বশীলতা এবং কাজের মাধ্যমে, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।