প্রকাশ: ৫ মে ২০২৫, ১৬:৫৩
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যেকোনো সংকট বা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ—এমন ঘোষণা দিয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। সোমবার (৫ মে) ঢাকার সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত ‘কমান্ড সেফটি সেমিনার-২০২৫’-এ তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফ্যালকন হলে আয়োজিত এই সেমিনারে দেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় বাহিনীর দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে প্রধান অতিথি বলেন, মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাহিনীর সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে ২৩ হাজার ১৬ ঘণ্টা নিরাপদ উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, এই অর্জন কেবল বাহিনীর দক্ষতা নয়, বরং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির প্রতিফলন। উড্ডয়নের ক্ষেত্রে নিরাপদ রেকর্ড গড়ে বাহিনী নিজেকে আরো নির্ভরযোগ্য হিসেবে প্রমাণ করেছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
সেমিনারে বিমান বাহিনীর সদর দপ্তর ও বিভিন্ন ঘাঁটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই সাফল্য উদযাপনের অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর কক্সবাজার ঘাঁটিকে ‘আন্তঃঘাঁটি ফ্লাইট সেফটি ট্রফি’ প্রদান করা হয়।
তাছাড়া ২০২৪ সালের সর্বোচ্চ নিরাপদ উড্ডয়ন সময়ের জন্য ৫ নম্বর বহরকে ‘আন্তঃবহর খাদেমুল বাশার ফ্লাইট সেফটি ট্রফি’ দেওয়া হয়। এই অর্জন সংশ্লিষ্ট সদস্যদের আত্মবিশ্বাস ও কর্মনিষ্ঠাকে আরও উৎসাহিত করবে বলে মত প্রকাশ করেন সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা।
এছাড়াও ‘বেস্ট এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ারিং স্কোয়াড্রন ট্রফি’ অর্জন করে জহুরুল হক বিমান প্রকৌশল বহর, যা বাহিনীর কারিগরি সক্ষমতার উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। বাহিনী প্রধান আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তার আধুনিকায়ন, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তা ও গর্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।