প্রকাশ: ৫ মে ২০২৫, ১৬:৩২
স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারের জন্য একটি নতুন সুপারিশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন। কমিশনটি দেশের অতি দরিদ্র ২০ শতাংশ রোগীকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ রোগীকে সরকারি হাসপাতালে এবং বাকি ১০ শতাংশ রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে এই সেবা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সোমবার (৫ মে) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে কমিশন এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছে।
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন জানান, কমিশন এমন একটি নীতিমালা সুপারিশ করেছে যা ওষুধের নমুনা বা উপহার দিয়ে চিকিৎসক বা ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা নিষিদ্ধ করবে। তিনি আরও জানান, কমিশন প্রস্তাব করেছে যে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা বাড়ানো হোক এবং দুই বছর পর পর এই তালিকা আপডেট করা উচিত।
এছাড়া কমিশন দাবি করেছে, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ প্রাথমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ছিল, সংবিধান সংশোধনপূর্বক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব। এই সুপারিশের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সকল নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে প্রদান নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
কমিশন আরও সুপারিশ করেছে যে, একটি স্বতন্ত্র ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সার্ভিস’ গঠন করা উচিত, যার মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালে জনবল নিয়োগ এবং অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা বৃদ্ধি করা হবে। নতুন হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবও দিয়েছে কমিশন, যাতে রোগীদের বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা কমানো যায়। ক্যানসার এবং ডায়াবেটিসের ওষুধের ওপর ভ্যাট-কর মওকুফ করার সুপারিশও করা হয়েছে।