নোয়াখালীতে থানার পুকুরে লুট হওয়া রাইফেল উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
গিয়াস উদ্দিন রনি- জেলা প্রতিনিধি , নোয়াখালী
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৩শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৯:১১ অপরাহ্ন
নোয়াখালীতে থানার পুকুরে লুট হওয়া রাইফেল উদ্ধার

নোয়াখালীর চাটখিল থানার পুকুর থেকে লুট হওয়া একটি চায়না রাইফেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানো তল্লাশিতে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গত ৫ আগস্ট চাটখিল থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর দুর্বৃত্তরা বেশ কিছু অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া রাইফেলটি সেগুলোর একটি বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে থানা থেকে লুট হওয়া একটি রাইফেল পুকুরে থাকতে পারে। এরপর পুলিশ সদস্যরা পুকুরে নেমে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্রটি উদ্ধার করেন। তবে রাইফেলটি কে বা কারা পুকুরে ফেলে রেখেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  


৫ আগস্টের ওই ঘটনার পর চাটখিল থানায় হামলাকারীরা থানার অস্ত্রাগার থেকে বেশ কিছু অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানার তিনটি চায়না রাইফেলসহ ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকৃত রাইফেলটি সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত কিনা, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।  


থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে এখনো অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তিনি আরও বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা গেলেও এর দায়ীদের চিহ্নিত করা এবং বাকী অস্ত্র উদ্ধার এখন পুলিশের প্রধান চ্যালেঞ্জ।  


পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে থানা আক্রমণ করেছিল। এই হামলায় থানা ভবন ও আশপাশের এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই সময় সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে লুণ্ঠিত হয় অস্ত্রগুলো।  


পুলিশ আশা করছে, উদ্ধার হওয়া রাইফেলের সূত্র ধরে হামলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। হামলায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।  


পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিখোঁজ অস্ত্রগুলো উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। থানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।  


উদ্ধার হওয়া রাইফেলটি বর্তমানে চাটখিল থানার হেফাজতে রয়েছে। এটি প্রকৃতপক্ষে থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি কিনা, তা যাচাইয়ের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। পুলিশের এই অভিযান জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়েছে।