দীর্ঘদিন সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ায় আশাশুনি উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারের বেহালদশা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতিনিয়ত পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। উপজেলার ৩৪ টি হাট থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হলেও হাট-বাজারগুলোর উন্নয়ন স্থবির হয়ে আছে।অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় এ গুলো দেখার কেউ নেই।
উল্লেখযোগ্য হাটবাজারের মধ্যে বদরতলা হাট, কামালকাটী হাট, আশাশুনি থানা বাজার, হাড়িভাঙ্গা বাজার, কোদন্ডা হাটখোলা, বদরতলা বাজার, বসুখালী বাজার, কাদাকাটি হাজীর হাট, কে,সি বাজার, গদাইপু কাচারী বাড়ী বাজার, তুয়ারডাংগা বাজার, বিছট বাজার, কাকবশিয়া বাজার, একসরা বাজার, আনুলিয়া বাজার, বাগালী বাজার, গুনাকরকাটি বাজার, বড়দল বাজার, গোয়ালডাঙ্গা বাজার,পাইথলী বাজার ।
সরেজমিনে আশাশুনির বুধহাটা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। সামান্য একটু বৃষ্টিতে বাজারের মধ্যে অলিতে গলিতে পানি জমে যায়। পানি-কাঁদা মাড়িয়ে লোকজন চলাচল করতে হয়।এদিকে, উপজেলার বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র বুধহাটা বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হলেও জনসাধারণের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নেই।
বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত করুন।বুধহাটা কাঁচা বাজারের রাস্তটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বিজন দেবনাথ,আঃ হাকিম,মাধু পরামানিক,প্র ভাড়াটিয়াদের পয়নিষ্কাশনের পানি, কি বর্ষা কি শীত সকল সময় অপরিস্কার পানিতে নিমজ্জিত থাকে।
বাজারের ড্রেন পরিস্কার না করায় বর্জ্য জমে সামান্য একটু বৃষ্টি হলে ড্রেনের পঁচা পানি উপচে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এমনকি দোকানের ভিতর ঢুকে পড়ে পানি। বর্ষা মৌসুমে ক্রেতা-বিক্রেতা ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি চরমে পৌছায়।
এ ছাড়া বাজারের গলিপথগুলো সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাজারের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে ছোট ছোট খুপরি ঘর তৈরি করে ব্যবসা করায় বাজারে ব্যবসায়ীদের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।বৃষ্টির সময় হাটে আগত লোকদের দাঁড়ানোর নেই কোন ছাউনী।
চান্দিনাগুলো দখল করে রেখেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। চাঁদনীতে কেউ আবার ব্যক্তিগত ব্যবসা গড়ে তুলেছেন।বাজারের বিভিন্ন সড়ক দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মালামাল রেখে দখল করে রেখেছে। রাস্তা জুড়ে কেউ তেলের ব্যারেল, আবার কোথাও রাখা আছে দোকানের মালপত্র, ইটের গাদা, লাকড়ি ইত্যাদি।
আশাশুনির ছোটবড় হাট বাজারের মধ্যগলিতে হাট বসায় যানবাহন চলাচল বিঘœ ঘটছে। হাটের দিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারের অধিকাংশ ব্যস্ততম সড়ক জুড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা শাকসবজি, তরকারি, মাছ, ফল, খেলনা, পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা বিক্রির জন্য সাজিয়ে বসেছে।
আবার অনেকে নিজেদের পছন্দের জায়গায় ঝুপরি টাঙিয়ে দখল করে স্থায়ীভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বুধহাটা বাজারের ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম জানান,বুধহাটার অলিগলি ও দোকানের সামনে মুদি ব্যবসায়ীদেও দখলে থাকার কারনে বাজারের আগত দোকানদার ও ক্রেতা সাধারনের নানাধরনের অসুবিধায় পড়তে হয়।
বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী জানান, ‘নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার না করায় ময়লাযুক্ত পানি জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, এতে আমাদের দোকানদারী করতে কষ্ট হচ্ছে।
এলাকা বাসী সহ ব্যবসায়ীদের আকুল আবেদন আশাশুনির অবহেলিত হাট বাজার গুলোর উন্নয়নে এগিয়ে আসবেন এমন প্রত্যাশ করছেন জন প্রতিনিধি সহ প্রশাসনের কাছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।