সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে মামলা করলেন-সারজিস

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিবেদক - আইন আদালত
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৩শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৮:১০ অপরাহ্ন
সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে মামলা করলেন-সারজিস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে ফেসবুকের দুটি পেজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন তিনি। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  


পুলিশ জানিয়েছে, সারজিসকে নিয়ে ফেসবুকে আজেবাজে মন্তব্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে তিনি মামলা করেছেন। সারজিস এজাহারে উল্লেখ করেন, ডিপার্টমেন্ট অব বাকশাল, ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা এবং ক্রিমিনালস ডিইউ নামের দুটি পেজ থেকে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর পোস্ট দেওয়া হয়েছে। পোস্টগুলোতে তার একটি পুরোনো হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের এডিটেড স্ক্রিনশট ব্যবহার করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে।  


মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, পেজগুলো থেকে কুরুচিপূর্ণ এডিটেড ছবি এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারিত হয়েছে, যা তার ব্যক্তিত্ব ও সম্মানহানি করেছে। এসব অপপ্রচার তার সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি এই মিথ্যা ও মানহানিকর প্রচারণার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।  


শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর জানান, ফেসবুক পেজের লিংক ও কিছু ছবি পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই করা হবে। তদন্তের জন্য সাইবার ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে অভিযুক্ত পেজগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  


সারজিস আলম বলেন, এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ ও কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা শুধু তার নয়, সমাজের সকল মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদার জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি সাইবার ক্রাইমের শিকার ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান।  


বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপপ্রচারের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এর বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। সারজিসের মামলা এই ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।  


মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এতে অপরাধীদের মনোবল ভেঙে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়। সারজিসের এই পদক্ষেপ অন্যান্যের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।  


ফেসবুকসহ অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের মানহানিকর কার্যক্রম রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সারজিস আলমের দায়ের করা মামলার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।