নলছিটিতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ! জানেন না সড়ক জনপথ বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো. নাঈম হাসান ঈমন, জেলা প্রতিনিধি (ঝালকাঠি)
প্রকাশিত: রবিবার ২০শে আগস্ট ২০২৩ ০৭:২৮ অপরাহ্ন
নলছিটিতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ! জানেন না সড়ক জনপথ বিভাগ

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট সড়ক ধসে প্রায় ছয় দিন ধরে ঢাকা-মোল্লারহাট রুটের বাস, ট্রাক ও ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। তবে অটো, মাহিন্দ্রা, পিকআপ, কার ও মটরসাইকেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।


সড়ক সুরক্ষায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। রাস্তার ফাটল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে লাল নিশান বা সাইনবোর্ডে লটকানোসহ নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। দূর্ঘটনার ভয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। টানা ভারি বর্ষণ ও খালে জোয়ারের পানির চাপে সড়কের পাশে বিশাল আকৃতির ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় সড়কটির ৪০/৫০ মিটার রাস্তা সম্পূর্ণ অংশ খালে ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।


সড়কে দিনের বেলায় ছোট যানবাহন চলাচল করলেও সন্ধ্যার পর কোনো যানবাহন চলাচল করে না। এতে চড়ম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষদের। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, নদীর সঙ্গে সংযুক্ত সুবিদপুর তাফালবাড়ি খালে বৃষ্টির পানি ও জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় সড়কটি ভেঙে খালে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।


স্থানীয় আজিজুর রহমান ভোরের কাগজকে জানান, বর্ষার মাঝামাঝি সময়ে রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে খালে চলে যাচ্ছে। বাকিদিন তো পড়েই আছে। এখন রাস্তা মেরামত করা না হলে অচিরেই খালের পেটে চলে যাবে।


নলছিটি উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাকেরগঞ্জের মহেশপুর, নিয়ামতিসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে।ঢাকা-মোল্লারহাট রুটে বেপারি পরিবহনের কাউন্টারম্যান সাগর হোসেন ভোরের কাগজকে জানান, সড়কটি ফাটল ও ধসে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাফালবাড়ি এলাকার যে অবস্থা তাতে পরিবহন চলাচল সম্ভব নয়। তাই দ্রুত এই সড়ক সংস্কার না হলে ঢাকা-মোল্লারহাট রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।


তালতলা বাজার ও মোল্লারহাটের ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত সড়কটি এখন বিপজ্জনক মরণফাঁদ হয়ে পড়েছে। দ্রুত ভাঙন রোধ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানান তারা।


সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার খান ভোরের কাগজকে জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সড়কটি ভাঙন থেকে রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে প্রকৌশলী সাথে কথা বলব।


সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, ভাঙনের বিষয়ে তিনি জানতেন না। সড়ক সুরক্ষায় তার অফিসের সহকারী পাঠিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিবেন।