জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ শহর থেকে রাজীবপুর পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দের ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে অসংখ্য খানা খন্দের কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ২০২০ সালে এলজিইডি সড়কটি মেরামত করলেও অল্প দিনেই সড়কের পিচের ঢালাই উঠে খানা খন্দের সৃষ্টি হয়। সড়কটি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরবাদ, হাতীভাঙ্গা, পাররামপুর, চর আমওয়া, ডাংধরা ইউনিয়ন হয়ে উত্তর বঙ্গ কুড়িগ্রাম রাজীবপুর রৌমারীর সাথে সংযুক্ত। প্রতিদিন ওই সড়কে শত শত যানবাহন জামালপুর ও ঢাকায় যাতায়াত করে থাকে।
বরগুনা থেকে আসা ট্রাক চালক ইউনুস জানান, খুটার চর মোড় হতে সীমান্তবর্তী ডাংধরা ইউনিয়নের কদমতলা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক জায়গায় বড় বড় গর্ত রয়েছে। এসব গর্ত দিয়ে গাড়ি চালানো অনেক কঠিন, অনেক সময় গাড়ি উল্টে যায়। ইজি বাইক চালক রহিম জানান, রাস্তায় বড় বড় গর্ত থাকায় গাড়ি চালানো যায় না, যাত্রী নামিয়ে দিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। বাহাদুরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান শাকিরুজ্জামান জানান, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সাথে উত্তরের হাতীভাঙ্গা, পাররামপুর, চর আমখাওয়া, ডাংধরা চারটি ইউনিয়ন বাসীর একমাত্র রাস্তা এটি। গত বন্যায় রাস্তাটির ব্যপক ক্ষতি হয়েছে এরপর আর রাস্তার কোন সংস্কার কাজ হয়নি, রাস্তাটি মেরামত করার খুব জরুরি।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, খুটার চর মোড় থেকে সানন্দ বাড়ী ও কদম তলা বাজার পর্যন্ত সড়কটিতে অসংখ্য খানাখন্দের কারনে ভারী যানবাহন চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে গাড়ী চালকদের। উপজেলা প্রকৌশলী সাঈদ হোসেন জানান, সডকটির দু’ পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্হা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকার ফলে খানা খন্দের সৃষ্টি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার একে এম আব্দুল্লা বিন রশীদ জানান, সড়কের খানা খন্দের সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।