প্রকাশ: ৮ মে ২০২৫, ২০:১৪
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা আবারও চরমে পৌঁছেছে। নয়াদিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তান একযোগে ভারতের অন্তত ১৫টি শহরে হামলা চালিয়েছে, যার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতও সামরিক জবাব দিয়েছে। এতে দু’দেশেই ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আল জাজিরা জানায়, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দাবি করেছেন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দু’দেশের সেনাবাহিনীর সরাসরি সংঘর্ষে ভারতের অন্তত ৪০ থেকে ৫০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এই দাবি পাকিস্তানের সংসদে ভাষণ দিয়ে তিনি উপস্থাপন করেন, যদিও ভারত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারতের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের হামলার জবাবে দেশটির সামরিক স্থাপনাগুলোতে নিশানা করে হামলা চালানো হয়েছে। বিশেষ করে লাহোরসহ বিভিন্ন শহরের আকাশ প্রতিরক্ষা স্থাপনায় আঘাত হানা হয়েছে বলে দাবি ভারতের। পাকিস্তান ছোড়া বেশ কিছু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, শ্রীনগর, পাঠানকোট, লুধিয়ানা, অমৃতসর, চণ্ডীগড়সহ একাধিক শহরে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা রাশিয়া থেকে কেনা এবং তা অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম বলে দাবি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের।
এর আগে, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামক একটি অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি শহরে একযোগে হামলা চালায় ভারত। দেশটির দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধেই এই আক্রমণ।
এদিকে পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি। বাহাওয়ালপুরের আহমেদপুর পূর্বাঞ্চলে চালানো ভারতীয় ড্রোন হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র। নিহতদের মধ্যে শিশুসহ নারী-পুরুষ রয়েছে, যা সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলার অভিযোগকে সামনে আনছে।
পাকিস্তান আরও দাবি করেছে, তাদের পাল্টা প্রতিরোধে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে। জম্মু, আখনুর ও অবন্তীপুর এলাকায় এসব বিমান গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে এগোচ্ছে বলে দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
আপনি কি এই সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াও জানতে চান?