প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১৯:৪২
টানা ১২ দিনের ইসরাইলি বিমান হামলায় ইরানে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১০ জনে, আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৭৪৬ জনের বেশি। সোমবার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসেইন কেরমানপুর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ১৩ শিশু এবং ৪৯ জন নারী, যাদের মধ্যে দু’জন ছিলেন গর্ভবতী। সবচেয়ে ছোট শিশুটির বয়স ছিল মাত্র দুই মাস। এই হামলায় বহু সাধারণ মানুষের জীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে এখনো ৯৭১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, যাদের মধ্যে প্রায় ৬৮৭ জনকে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যখাতেও চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। এখন পর্যন্ত হামলায় ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে ৭টি হাসপাতাল, ৬টি জরুরি সেবা কেন্দ্র, ৪টি ক্লিনিক এবং ৯টি অ্যাম্বুলেন্স।
ইসরাইল ১৩ জুন থেকে ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকায় একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। পাল্টা জবাবে ইরানও চালিয়েছে ‘প্রতিশোধমূলক অভিযান’। এই দুই দেশের হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ জনগণ।
ইরানের অভ্যন্তরে যেসব আবাসিক এলাকায় হামলা হয়েছে, সেখানে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকেই চরমভাবে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরণের সংঘাত চলতে থাকলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়তে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই মানবিক বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে উভয়পক্ষকে শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরাইলে এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত হয়েছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন। তবে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এখনো ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।