প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ২১:৪৩
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
বরিশালের হিজলা উপজেলায় উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলামের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার বিকেল পাঁচটায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে হিজলা অফিসার্স ক্লাবের নেতৃত্বে এবং সর্বস্তরের সরকারি কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব, অথচ সেবা প্রদানকালে এমন হামলা দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার রাত নয়টার দিকে হিজলা সদর বিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটের সামনে সাহানশার দোকানের পাশে প্রণোদনার আওতায় নারিকেল চারাগাছ বিতরণকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা হঠাৎ করেই ফখরুল ইসলামের ওপর হামলা চালালে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাতেই হিজলা থানায় এই ঘটনার সাথে জড়িত তিন জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিন থেকে চার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হাবীব আল আজাদ জনি জানান, কৃষি অফিসের কাজের অংশ হিসেবে প্রণোদনার চারাগাছ বিতরণ করা হচ্ছিল। এ সময় যে হামলা হয়েছে তা পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি দাবি করেন, যেসব দুর্বৃত্ত এই হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হোক।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার ওপর প্রকাশ্যে হামলার ঘটনা শুধু ব্যক্তির ওপর নয়, বরং তা রাষ্ট্রের সেবাদান প্রক্রিয়ার ওপরও আঘাত। তারা আরও বলেন, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্টদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বক্তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
এই মানববন্ধনে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও অন্যান্য সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরাও একাত্মতা প্রকাশ করেন। ঘটনাটি উপজেলাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, রাষ্ট্রীয় সেবায় নিয়োজিত কোনো কর্মচারীর উপর হামলা হলে সাধারণ জনগণ কীভাবে নিরাপদ থাকবে, সেই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।