প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১১:২৯
ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) জন্য বড় ধাক্কা শনিবার (২১ জুন) পড়েছে,আজ তাদের ড্রোন ইউনিটের দ্বিতীয় প্রধান কমান্ডার আমিন পুর জোদখি ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। জোদখি আইআরজিসির ড্রোন বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে কাজ করছিলেন এবং ইসরায়েলের উপর একাধিক ড্রোন হামলার তত্ত্বাবধান করছিলেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের বিমান বাহিনীর বিমানগুলো লক্ষ্যভেদের মাধ্যমে জোদখিকে হত্যা করেছে। এই হামলা ইসরায়েলের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে শুরু হয়ে শত শত ইউএভি ড্রোন ছোড়ার পরিকল্পনার অংশ ছিল। জোদখির মৃত্যুর মাধ্যমে আইআরজিসির ড্রোন অপারেশন কার্যত এক বড় আঘাত পেল।
এর আগে, ১৩ জুন একই বাহিনীর প্রধান কমান্ডার তাহার ফারকেও ইসরায়েলি হামলায় হত্যা করা হয়েছিল। তাহারের পরই জোদখি কমান্ডার পদ গ্রহণ করেন এবং অপারেশন পরিচালনা করছিলেন। তাকে হারিয়ে আইআরজিসির ড্রোন ইউনিটের কার্যক্রমে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ও সংঘাতের পটভূমিতে এই হত্যাকাণ্ড যুদ্ধের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। উভয় পক্ষই একে অপরের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেই একে অপরের স্থাপনা লক্ষ্য করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আইআরজিসির এই ক্ষতি সামরিক কৌশল ও তথ্য পরিচালনায় বড় পরিবর্তন আনতে পারে। এতে সাময়িকভাবে ইরানের ড্রোন হামলার ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আইআরজিসি দ্রুত নতুন কমান্ডার নিয়োগের মাধ্যমে এই শূন্যতা পূরণ করতে পারে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের এই উত্তেজনা কোনোভাবেই দ্রুত কমবে না, বরং সামরিক আঘাত এবং পাল্টা আক্রমণের পাল্লা আরও দীর্ঘদিন চলতে পারে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক এই ধরণের হামলা এবং প্রতিহামলা উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে, যার ফলে সাধারণ মানুষও বড় ধরনের অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নেওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
এই দুঃসংবাদ আইআরজিসির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হলেও, তারা এখনও তাদের লক্ষ্য পূরণে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলমান সংঘাতে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের সামরিক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।