প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১১:৮
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে হামাসের অতর্কিত হামলায় ইসরাইলের পাঁচ সেনা নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ও ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ সেনা আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালবেলা এই হামলা চালানো হয়। হামাসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে দুভাগে বিভক্ত হয়ে তাদের যোদ্ধারা অভিযানটি পরিচালনা করে। প্রথম ধাপে তারা খান ইউনিসের একটি এলাকায় অবস্থানরত সেনাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর আহতদের উদ্ধার করতে আসা আরেকটি সেনা দলের ওপর দ্বিতীয় ধাপে হামলা করে তারা।
প্যালেস্টাইন ক্রনিকল জানিয়েছে, এই আক্রমণ ছিল সুপরিকল্পিত এবং কয়েকটি সামরিক যানকে সরাসরি টার্গেট করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। হামলার ফলে একটি সাঁজোয়া যান আগুনে পুড়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সূত্র। এতে কিছু সেনা বাহ্যিক আগুনে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে তাত্ক্ষণিকভাবে হেলিকপ্টারে করে তেলআবিবের তেল হাসোমের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা সেনাদের পরিবারের সদস্যদের ইতোমধ্যে অবহিত করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর ইসরাইলি বাহিনী হামলার স্থান খান ইউনিসে ব্যাপক পাল্টা হামলা চালায়। তারা দাবি করেছে, হামলাকারীদের ধরতে এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং স্থল ও আকাশপথে যৌথ অভিযানের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হচ্ছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের সদস্যরা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ওপর বারবার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মতে, এটি একটি নতুন কৌশলের অংশ, যাতে ক্ষিপ্রভাবে হানা দিয়ে দ্রুত সরে যাওয়া হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের হামলা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মনোবলে আঘাত হানার পাশাপাশি তাদের মুভমেন্ট ও অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থাকেও ব্যাহত করতে পারে। হামাসের তরফে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিহত সেনাদের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি, তবে এই হামলার প্রভাব গাজা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে বলেই ধারণা।
ইসরাইলি বাহিনী এই মুহূর্তে গাজার অভ্যন্তরে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে, ততক্ষণ প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।