মহান আল্লাহ তায়ালা অহংকারীকে পছন্দ করেন না। অহংকারের পরিণাম ধ্বংস এবং জাহান্নাম ইলম-আমল, জ্ঞান-গরিমা, অর্থ-সম্পদ, ইজ্জত-সম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তি, বংশ-মর্যাদা, ইবাদত-উপাসনা ইত্যাদি যে কোনো বিষয়ে নিজেকে বড় মনে করা এবং অন্যকে তুচ্ছ ও নগণ্য মনে করাকে অহংকার বলা হয়।
ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেন, নিজেকে বড় মনে করা এবং নিজেকে অন্যের তুলনায় অধিক মর্যাদাবান মনে করাই হলো অহংকার। আল্লামা রাগেব ইস্পাহানী (রহ.)-এর মতে, অহংকার হলো নিজেকে অন্যের তুলনায় উত্তম বা মহৎ মনে করা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা। মহান আল্লাহ তায়ালা অহংকারীকে পছন্দ করেন না। এর আগে বহু সম্প্রদায়কে অহংকারের কারণে ধ্বংস করা হয়েছে।
সুতরাং অহংকার শব্দটিকে যেভাবেই সংজ্ঞায়িত করা হোক না কেন, তা সর্বাবস্থায় হারাম এবং এর পরিণাম হলো ধ্বংস ও জাহান্নাম। এই অহংকারের কারণেই ফেরেশতাগণের সর্দার ইবলিশের ঠিকানা হয়েছে চির জাহান্নাম। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, তার সঙ্গে কাউকে শরিক কর না। আর সদয় ব্যবহার কর মাতা-পিতার সঙ্গে, নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে, এতিম, মিসকিন, আত্মীয়-প্রতিবেশী, অনাত্মীয়-প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সাথী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীর সঙ্গে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না তাদের, যারা দাম্ভিক ও অহংকারী (সূরা নিসা-৩৬)।
প্রিন্সিপালঃ- শাহজালাল রহ, ৩৬০ আউলিয়া লতিফিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা উপশহর সিলেট।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব