প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১৭:৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত ও স্থানীয় নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে আয়োজিত কর্মীসভাকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন চুন্টা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এই কর্মসূচিকে প্রতিহত করতে শনিবার সকালেই কালো পতাকা মিছিল করেন তারা, যেখানে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা সরব প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবাদকারীদের দাবি, রুমিন ফারহানার মতো একজন কেন্দ্রীয় নেত্রী স্থানীয় নেতাদের না জানিয়ে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন, যা দলে বিভ্রান্তি ও হতাশা সৃষ্টি করছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় চুন্টা বাজারে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আকতার মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সেলিমের সঞ্চালনায় নেতারা বক্তব্য রাখেন। তারা স্পষ্ট ভাষায় জানান, দলের ত্যাগী ও প্রকৃত নেতাদের উপেক্ষা করে গোষ্ঠীগত স্বার্থে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য লিয়াকত আলী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. ইয়াসিন, জেলা কৃষকদলের সদস্য আকতার মিয়া, যুবদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, ছাত্রদল ও জাসাসের নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই। তারা বলেন, দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে সুবিধাবাদীরা যেভাবে স্থানীয় পর্যায়ে প্রভাব বিস্তার করতে চায়, তা প্রতিহত করতে হবে সংগঠনের ভিতর থেকেই।
শনিবার সকালে চুন্টা বাজারে বিক্ষোভকারীরা কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করে এবং বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে সমাবেশ বাতিলের আহ্বান জানান। এতে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে পড়ে এবং সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করে। প্রশাসনের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুন্টা ইউনিয়নে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধ নতুন করে প্রকাশ্যে এসেছে। স্থানীয় নেতারা মনে করেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় নেতারা জনসংযোগে নামলে সংগঠনের ঐক্য ও গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়বে, যা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিকল্পনার জন্য হুমকি।