প্রকাশ: ৩ জুলাই ২০২৫, ২১:১৬
দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ এবং ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ যথাযথভাবে উদযাপনের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মাউশির সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা জারি করা হয় এবং তা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে প্রতিবছর পালন করে থাকে এবং এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১নং পরিপত্র অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবেও সরকারিভাবে স্বীকৃত, যা একই পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে পালন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনাগুলোকে স্মরণ করে এই দুটি দিনকে আলাদা মর্যাদায় পালন করা হয়। বিশেষত জাতীয় আন্দোলন, শহীদদের আত্মত্যাগ ও দেশের ভবিষ্যৎ ইতিহাস চর্চার দিক থেকে দিনগুলোর গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য। এসব উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা, শহীদদের স্মরণে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মাউশির নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এসব দিবসের তাৎপর্য শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরতে শিক্ষকদের উদ্যোগী হতে হবে। পাশাপাশি দিবস দুটি পালনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড ও জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের এই নির্দেশ যথাযথভাবে পালনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ৮ আগস্ট উদযাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। নানা পক্ষের আপত্তির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। ফলে এখন শুধুমাত্র স্বীকৃত দিবসগুলো পালনে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এসব দিবস পালন শিক্ষার্থীদের মাঝে জাতীয় ইতিহাস চর্চা, মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা অতীত ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হয়ে ভবিষ্যতের জন্য দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে বলে তারা মনে করেন।