ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের বন্দর পাড়া, মুন্সিপাড়া, বকসেরহাট, শিমুলতলা ও চৌধুরীপাড়া গ্রামের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটিয়ে নিজ অর্থায়নে কাঁচা রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা মীর জাহিদ হাসান। রাস্তা ভাঙাচোরা থাকায় প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো শিশু, শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, রোগী ও পথচারীদের।
এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৩৫০০ মানুষ চলাচল করেন, যার মধ্যে রয়েছে স্কুল-কলেজগামী অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদা জমে হাঁটু সমান হয়ে যেত, তখন যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাও হতো কঠিন। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত পড়ে থাকা প্রায় সাড়ে আট কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেন মীর জাহিদ হাসান।
তিনি নিজ খরচে ইটভাটা থেকে রাবিশ ও মাটি এনে গ্রামের সাধারণ মানুষদের সহযোগিতায় রাস্তাগুলো মেরামতের কাজ শুরু করেন। গত এক সপ্তাহ ধরে চলে এ কাজ। এতে অংশ নেয় এলাকার বহু স্বেচ্ছাসেবকও।
মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইসরাফিল, সমসের আলী, মকবুলসহ অনেকে বলেন, “রাস্তাগুলো এতটাই খারাপ ছিল যে, প্রতিদিন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হতো। এখন মীর জাহিদ ভাইয়ের উদ্যোগে আমরা স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারছি।”
স্থানীয় গাড়িচালক বাবুল বলেন, “আগে এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানো ছিল রীতিমতো জুয়া খেলা। এখন অনেকটা উন্নতি হয়েছে, দুর্ঘটনাও কমবে।”
এ বিষয়ে মীর জাহিদ হাসান বলেন, “গ্রামবাসীদের ভোগান্তি দেখে আর বসে থাকতে পারিনি। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ খুব কষ্ট দিত। তাই নিজ অর্থায়নে ইট, মাটি ও বালু ফেলে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার একার পক্ষে পুরো রাস্তায় পাকা কাজ করা সম্ভব নয়, তবে সাময়িকভাবে চলাচলের উপযোগী করে তোলাই ছিল আমার উদ্দেশ্য।”
আকচা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শিমলা রানী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আমরা এই রাস্তাগুলোর উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব পাঠাব। তবে এর আগেই কেউ নিজ উদ্যোগে জনসেবা করলে, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।”