প্রকাশ: ৪ মে ২০২৫, ১০:৩৯
ইসলামী সমাজে হাদিসের গুরুত্ব অপরিসীম। কোরআনের পর হাদিসই হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান জীবনপথনির্দেশক। সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা প্রতিদিন একটি করে হাদিস জানার অভ্যাস গড়ে তুলছে, যা ধর্মীয় সচেতনতা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
বিশেষ করে শহরাঞ্চলের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইসলামিক জ্ঞান আহরণে আগ্রহ বেড়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও মোবাইল অ্যাপে প্রতিদিন হাদিস পাঠের সুবিধা সহজলভ্য হওয়ায় এই প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই সকাল শুরু করেন একটি হাদিস পাঠ করে এবং তা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাদিস জানার এই অভ্যাস কেবল ধর্মীয় অনুশাসনের জন্যই নয়, বরং এটি নৈতিক মূল্যবোধ, সততা ও সহমর্মিতা গঠনে সহায়তা করছে। ফলে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অনেকে পরিবারে একসঙ্গে বসে হাদিস পাঠ করছেন, যা পারিবারিক বন্ধনও দৃঢ় করছে।
মাদ্রাসা ও ইসলামি সংগঠনগুলো এই উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করতে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস, ওয়েবিনার ও পোস্টার প্রকাশ করছে। এসব কার্যক্রম তরুণদের মধ্যে ধর্ম সম্পর্কে আগ্রহ ও সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করছে বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবিদরা।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে কোরআন শিখে এবং অন্যকে শেখায়।’ এই হাদিসের আলোকে মানুষ আজ নিজে জানার পাশাপাশি অন্যদেরকেও ইসলামিক জ্ঞান শেয়ার করতে উৎসাহী হয়ে উঠেছে।
গ্রামীণ এলাকাতেও হাদিস জানার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। মসজিদ ও স্থানীয় মাদ্রাসায় প্রতিদিন এক হাদিস পাঠের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে ধর্মীয় শিক্ষায় এক ধরনের ঐক্য গড়ে উঠছে, যা সমাজে শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
সচেতন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বলছেন, ধর্মচর্চার পাশাপাশি আত্মিক পরিশুদ্ধির জন্য হাদিসের চর্চা অপরিহার্য। প্রতিদিন একটি করে হাদিস জানলে ধীরে ধীরে পুরো জীবনটাই বদলে যেতে পারে। এই ধারা বজায় থাকলে ভবিষ্যতে একটি জ্ঞ্যানভিত্তিক ইসলামিক সমাজ গড়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অনেকে।