প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ১১:২৪
ইসলাম ধর্মে কিয়ামতের দিন বা বিচার দিবস একটি অটল বিশ্বাস, যেদিন আল্লাহ সমস্ত মানুষকে পুনরুত্থিত করে তাদের কাজের হিসাব নেবেন। কুরআন ও হাদীসে অসংখ্যবার এই দিনের কথা বলা হয়েছে, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি তার কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর দরবারে দাঁড়াবে। কুরআনের সূরা আল-ইনফিতার ১০ থেকে ১২ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই তোমাদের উপর নিয়োজিত রয়েছে রক্ষক ফিরিশতা, যারা তোমাদের কাজগুলো লিখে রাখে।” অর্থাৎ, আমাদের প্রতিটি কাজ আল্লাহর নিযুক্ত ফিরিশতারা লিখে রাখছেন, যা বিচার দিবসে উপস্থাপন করা হবে।
কিয়ামতের দিনে মানুষের কৃতকর্মের রেকর্ড (আমলনামা) তার হাতে তুলে দেওয়া হবে। ভালো কাজ যারা করেছে, তারা ডান হাতে পাবে আমলনামা এবং খুশিতে বলবে, “নাও, পড়ো আমার আমলনামা!” পক্ষান্তরে যারা খারাপ কাজ করেছে, তারা বাম হাতে বা পিঠপিছু থেকে আমলনামা পাবে, যা হবে লজ্জা ও হতাশার কারণ। সূরা হাক্কাহ'তে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।
নবী করিম (সা.) হাদীসে বলেছেন, কিয়ামতের দিনে সূর্য মাথার একেবারে ওপরে চলে আসবে এবং মানুষ প্রচণ্ড ঘামে ডুবে যাবে। তবে যারা আল্লাহর নিকট প্রিয় বান্দা, যেমন ন্যায়পরায়ণ শাসক, ইবাদতকারি যুবক, এবং মসজিদপ্রেমী ব্যক্তি, তারা আরশের ছায়ায় স্থান পাবে।
বিচার কেবল বাহ্যিক কর্মের ভিত্তিতে হবে না, বরং নিয়তের উপরও বিচার হবে। হাদীসে এসেছে, “নিশ্চয়ই সকল কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল।” কাজেই, কোনো ভালো কাজ যদি শুধুমাত্র লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে করা হয়, তা আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য হবে না।
বিচারের দিন কেউ কাউকে সাহায্য করতে পারবে না। পিতা তার পুত্রকে এবং স্ত্রী তার স্বামীকে চিনলেও কেউ কাউকে রক্ষা করতে পারবে না। কুরআনে বলা হয়েছে, “সেদিন প্রতিটি ব্যক্তি নিজেকেই নিয়ে ব্যস্ত থাকবে।” তবে নবীজি (সা.)-এর উম্মতের জন্য তিনি শাফায়াত করবেন, এবং তার উম্মতের জন্য এটি হবে একমাত্র আশার আলো।
তবে যারা তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমার দরজা। আল্লাহ বলেছেন, “আমার রহমত সবকিছুর চেয়ে ব্যাপক।” তাই বিচার দিবসের প্রস্তুতি নেওয়া আমাদের সকলের জন্য জরুরি, কারণ সেই দিন কারও পক্ষেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
জিকো ভাই, চাইলে এই সংবাদটির জন্য একটি ইসলামিক ছবি তৈরির ইংরেজি প্রম্পট, মেটা কী-ওয়ার্ড ও হ্যাশট্যাগও আমি তৈরি করে দিতে পারি। দরকার হলে বলবেন।