দেবীদ্বারে সড়ক সম্প্রসারণে অনিয়ম, যানজট নিরসনে বাধা সৃষ্টি

কুমিল্লার দেবীদ্বারে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের যানজট নিরসনে সরকারি বরাদ্দে সড়ক সম্প্রসারণ ও রোড ডিভাইডার নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারের দুই কোটি ৪৩ লাখ টাকা বাজেটের এই কাজে সঠিক মান রক্ষা না করায় সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও অনিয়মের কারণে সড়ক সম্প্রসারণ কার্যক্রম কার্যত খাতায় কলমেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলীয় মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বুধবার সন্ধ্যায় দেবীদ্বার নিউমার্কেট এলাকায় সড়ক নির্মাণকাজ পরিদর্শন করে এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সরকারি টাকায় যে কাজ হয়েছে, তা জনগণের উপকারে আসেনি। রোড ডিভাইডার বসানোর আগে বেইজমেন্টে ৬ ইঞ্চি গাঁথুনি দেওয়ার কথা থাকলেও তা কার্যত কার্যকর করা হয়নি। ডিভাইডার শুধু সড়কের উপরের অংশে বসানো হয়েছে, যা খুব সহজেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে পারে। এছাড়া ব্লক দেওয়ার কথা থাকলেও তা রাখা হয়নি।

হাসনাত আরো জানান, সড়কের এক রোড থেকে অন্য রোডের দূরত্ব থাকার কথা ছিল ৩০০ মিমি, কিন্তু প্রকল্পে তা রাখা হয়েছে ৪০০ মিমি। প্রয়োজন ছিল ১০০টি রড, কিন্তু ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র ৭০টি। সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুধুমাত্র ইট বসিয়ে করা হয়েছে, যা কয়েক মাসের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে। এই কারণে সড়কে মানুষ হাঁটতেও পারছে না, গাড়িও চলাচল করতে বাধা পাচ্ছে। তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ার ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দায়ভার নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন।

প্রকল্পটি মেসার্স ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, "ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী কাজ করেছি।" কিন্তু স্থানীয়রা এবং মতামতদাতারা ঠিকাদারের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

স্থানীয় জনগণ ও যানবাহন চালকদের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে এ সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা উচিত ছিল। তবে প্রকল্পের অনিয়মের কারণে তা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতা ও সতর্কতা দাবি করে স্থানীয়রা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চায়, যেন যানজট ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মেলে।