প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ২১:৪৯
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
নওগাঁয় ধান ও চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে রাইস মিল ও গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধ মজুত ও নীতিমালা লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে জেলা খাদ্য বিভাগ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার বরেন্দ্র রাইস মিল ও কে.এস অটোমেটিক রাইস মিলসহ বিভিন্ন স্থানে চালানো এই অভিযানে খাদ্য নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন, অনুমোদনহীন মজুত ও গুদাম ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম পাওয়া যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার। তিনি বলেন, বাজারে চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে রাইস মিলগুলো পরিদর্শন করা হয়। দেখা যায়, অনুমতি না নিয়ে বিপুল পরিমাণ ধান ও চাল মজুত করে রাখা হয়েছে এবং গুদাম ব্যবস্থাপনায় রয়েছে চরম অব্যবস্থাপনা। এসব কারণে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন, যিনি জানান, বাজারে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ সঠিক রাখতে নিয়মিত তদারকি চালানো হচ্ছে। অভিযানে ধান ও চাল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বৈধ কাগজপত্র ও সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ না করায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে।
অভিযানে আরও অংশ নেন খাদ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা। তারা সংশ্লিষ্ট রাইস মিল মালিকদের অবিলম্বে অনুমোদিত লাইসেন্স সংগ্রহ ও গুদাম ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে পরিচালনার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা আইন অনুসারে ব্যবসা পরিচালনা না করলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এ ধরনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় ভোক্তারা। তাদের মতে, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। সময়োপযোগী এমন অভিযান চালিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। জেলা খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, জনস্বার্থে এই অভিযান চলমান থাকবে এবং কেউ আইন ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।