প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১০:৩৩
বর্তমান বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে ইসলাম নিয়ে ভুল ধারণা ও ইসলামভীতি (ইসলামোফোবিয়া) ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপ-আমেরিকায় মুসলিমরা প্রায়শই কেবল তাদের নাম, পোশাক বা বিশ্বাসের জন্য বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে, এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও ইসলাম গ্রহণের হার বেড়েই চলেছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে।
অনেক পশ্চিমা দেশের তরুণ এখন জীবন ও মানবতার অর্থ খুঁজতে গিয়ে ইসলামের দিকে ঝুঁকছেন। ইসলামের সরলতা, আত্মশান্তি ও ন্যায়ের বাণী তাদের হৃদয়ে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। মুসলিম বিশ্বের তরুণদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ, তারা চাইলে নিজেদের আদর্শিক জীবনযাত্রা ও ভালো আচরণের মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত ছড়িয়ে দিতে পারে।
হাদীসে এসেছে, ‘তোমরা যদি মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করো, তবে প্রতিটি মানুষের হেদায়তের বিনিময়ে তোমার জন্য অনেক বড় সওয়াব রয়েছে।’ এই দাওয়াতি দায়িত্ব কেবল আলেমদের নয়, বরং প্রতিটি সচেতন মুসলমানের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, লেখালেখি, ভিডিও বা দৈনন্দিন আচরণ—সবখানেই হতে পারে দাওয়াতের মাধ্যম।
বর্তমানে অনেক তরুণই ইসলামকে গোঁড়ামির চেয়ে এক বাস্তবধর্ম হিসেবে গ্রহণ করছে, যেখানে যুক্তি, বিজ্ঞান ও মানবিকতা রয়েছে। আমাদের দায়িত্ব এই গ্রহণযোগ্য ও যুক্তিনির্ভর ইসলামের চিত্র তুলে ধরা। কারণ একটি ভুল ধারণা ভাঙার চেয়ে, একটি সদাচরণ অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে।
বিশ্বমঞ্চে আজ মুসলিম পরিচয় একটি চ্যালেঞ্জও, আবার সম্ভাবনাও। এই চ্যালেঞ্জকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে মুসলিম যুবসমাজ যদি নিজেদের চরিত্রকে মজবুত করে, জ্ঞান অর্জনে অগ্রসর হয় এবং ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরে—তাহলে ইসলামোফোবিয়ার চিত্রও বদলাবে।
শেষত, ইসলাম শুধু নামাজ-রোজার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি ন্যায়বিচার, করুণা, শান্তি ও মানবতার পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। তরুণদের হাতেই আজ ইসলামের পরিচয় বহনের দায়িত্ব। তারা যদি এগিয়ে আসে, তাহলে বিশ্ব একদিন ইসলামের সত্যিকার রূপ চিনবেই।