প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ২১:৪১
সরকারি সেবাকে জনগণের আরও কাছে পৌঁছে দিতে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন উদ্যোগ শুরু হয়েছে, যা নাগরিকদের জন্য সহজলভ্য ও ভোগান্তিমুক্ত সেবা নিশ্চিতে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’ স্লোগানে চালু হওয়া এই প্রকল্পের পাইলট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজধানীর গুলশান, উত্তরা ও নীলক্ষেত এলাকায় ইতোমধ্যে নাগরিক সেবা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গুলশান ও উত্তরা কেন্দ্রে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে, আর নীলক্ষেত কেন্দ্রও অচিরেই চালু হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, দালালমুক্ত ও হয়রানিবিহীন একটি সরকারি সেবাব্যবস্থা গড়ে তোলা। প্রফেসর ইউনূস বলেন, প্রতিটি শিশু যেন জন্ম নেওয়ার পরপরই নাগরিক স্বীকৃতি পায় এবং এ লক্ষ্যেই সার্বিক ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করা হচ্ছে।
সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, কর ফাইলিংসহ নানান ডিজিটাল সরকারি সেবা। এসব সেবার পেছনে রয়েছেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তারা, যারা স্থানীয়ভাবে এই কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করবেন।
প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো অতিরিক্ত বাজেট নয়, বরং বিদ্যমান অব্যবহৃত সরকারি স্থাপনাগুলোকেই পুনরায় রূপান্তর করে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব কেন্দ্রকে আধুনিক কো-ওয়ার্কিং স্পেস হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
এই উদ্যোগে নারীদের অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্য। প্রথম ধাপে ৫০ জন নারীসহ মোট ১০০ জন উদ্যোক্তাকে নিবিড় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাছাই করে সনদ প্রদান করা হয়েছে। এতে করে ডিজিটাল সেবার পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়নের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে।
উদ্যোক্তাদের সাথে স্থাপনার মালিকদের ভাড়ার চুক্তির ভিত্তিতে এই সেবা কেন্দ্র পরিচালিত হবে, এবং সেবা মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এই সেবাকে একটি চলমান সামাজিক আন্দোলন হিসেবে উল্লেখ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ শুধুমাত্র একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং সরকার ও জনগণের মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভর সেতুবন্ধনের সূচনা, যা ভবিষ্যতের বাংলাদেশের উন্নয়ন কাঠামোকে রূপান্তরিত করবে।