প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১৮:২১
জাপান সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, যেখানে তিনি দেশটির কাছে ৫০০ থেকে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাজেট সহায়তাসহ সর্বোচ্চ ১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রত্যাশা করছেন। এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, এর মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সরাসরি বাজেট সহায়তা হিসেবে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, জাপানের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং আড়াই হাজার জাপানি নাগরিকের জন্য আলাদা ইকোনমিক জোন গঠনের পর আরও বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা চলছে।
এই সফরের অংশ হিসেবে একটি উচ্চপর্যায়ের সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে প্রায় তিনশ’ জন জাপানি বিনিয়োগকারী উপস্থিত থাকবেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সম্ভাব্য খাতসমূহে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরবেন এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের অঙ্গীকার ব্যক্ত করবেন।
বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি জাপানি বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টায় নিয়োজিত থাকবেন। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ১৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনবে।
মাতারবাড়ি ও মহেশখালীতে ছয়টি পোর্ট টার্মিনাল, পাওয়ার প্ল্যান্ট, লজিস্টিক হাব, ম্যানুফ্যাকচারিং হাব এবং এনার্জি হাব নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রকল্পে বিশ্বের বৃহৎ জাহাজগুলো ভিড়তে পারবে এবং এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠবে।
প্রেস সচিব বলেন, জাপানের আগ্রহ নতুন নয়; বহুদিন ধরেই তারা বাংলাদেশে বড় আকারে বিনিয়োগ করতে চায়। এবার সেই আগ্রহ বাস্তবে রূপ নিতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, মাতারবাড়ি প্রকল্পের পাশাপাশি কক্সবাজারেরও দ্রুত উন্নয়ন হবে। বিশেষ করে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজ চলমান রয়েছে, যা এই অঞ্চলের যোগাযোগ ও পর্যটন খাতে নতুন গতি আনবে।
এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে মনে করছেন নীতিনির্ধারকরা, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।