উলিপুরে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণে উচ্ছ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৩শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
উলিপুরে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণে উচ্ছ্বাস

কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক হাজার দশটি দরিদ্র পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মহিদেব যুব সমাজ কল্যাণ সমিতি (এমজেএসকেএস) ও সেভ দ্য চিলড্রেন এর সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বুড়াবুড়ি, হাতিয়া ও থেতরাই ইউনিয়নের শীতার্ত মানুষের মাঝে এ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রতিটি পরিবারের জন্য দেওয়া হয় ২টি কম্বল, শিশুদের জন্য ২টি সোয়েটার এবং নারীদের জন্য ১টি চাদর। 


বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মাহমুদুর রহমান, সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিনিধি সারোয়ার হোসাইন, এন্টিসিপেটরি অ্যাকশন অফিসার তাজমুল ইসলাম এবং এমজেএসকেএস এর উপ-পরিচালক শ্যামল চন্দ্র সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, প্যানেল চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা। 


অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তীব্র শীতে এই শীতবস্ত্র গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য অনেক বড় সহায়ক হবে। বিশেষ করে শিশু ও নারীদের জন্য এ উদ্যোগ বেশ উপকারী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মাহমুদুর রহমান দাতা সংস্থা এবং আয়োজক সংগঠনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই উদ্যোগ মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি আরো বেশি মানুষের জন্য সহায়তা কার্যক্রম বাড়ানোর আহ্বান জানান। 


শীতের শুরু থেকেই এমজেএসকেএস ও সেভ দ্য চিলড্রেন এ ধরনের মানবিক কাজ চালিয়ে আসছে। এসময় সুবিধাভোগীরা জানান, এই শীতবস্ত্র পেয়ে তারা খুবই উপকৃত হয়েছেন। বিশেষত দরিদ্র ও অসহায় পরিবারগুলোর জন্য এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। 


উল্লেখ্য, প্রতি বছর উলিপুর অঞ্চলে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। ফলে এ অঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের জন্য শীতবস্ত্র খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। শীতের প্রকোপে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশু ও বৃদ্ধরা। দাতা সংস্থাগুলোর এমন কার্যক্রম তাদের অনেকটাই স্বস্তি এনে দেয়। 


স্থানীয় প্রতিনিধিদের মতে, এই উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক হবে। এর পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে এমন কার্যক্রমের পরিসর আরো বাড়ানো হবে। তারা সবাইকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। 


শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে এমন সহায়তা প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আয়োজকদের মতে, এ ধরনের উদ্যোগ মানুষের কষ্ট লাঘবে ভূমিকা রাখবে। তারা প্রতিশ্রুতি দেন, ভবিষ্যতেও শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে।