ইসরাইলের পার্লামেন্ট, নেসেট, ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত বাসিন্দাদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিল পাস করেছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংস্থাটি ইসরাইলের মূল ভূখণ্ড এবং ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে আর কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
সৌদি আরব এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি অবিচার। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরাইলের এই পদক্ষেপ জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে একটি সরাসরি আক্রমণ। এটি ফিলিস্তিনিদের জন্য অপরিহার্য ত্রাণ এবং সেবার প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করবে।”
বিলে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইউএনআরডব্লিউএ-র কার্যক্রম ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনীশক্তি, বিশেষ করে গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে। সংস্থাটি যুদ্ধের শুরুর দিন থেকে ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ এবং মানবিক সহায়তা সরবরাহ করছে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষ আরও মন্তব্য করেছে, “ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের ক্রমাগত হামলা জাতিসংঘের সংস্থা ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামরিক প্রতিহিংসা প্রকাশ করে।” তারা এটিকে ফিলিস্তিনি পরিচয়কে মুছে ফেলার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে।
এদিকে, ইসরাইল অভিযোগ করেছে যে ইউএনআরডব্লিউএ-র কর্মীদের মধ্যে কিছু হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র সংগঠনের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। এর ফলে, ইসরাইল তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সিদ্ধান্তকে কীভাবে দেখে। ফিলিস্তিনের মানবিক সংকট মোকাবেলায় ইউএনআরডব্লিউএ-র ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এই সংস্থার কার্যক্রমে বাধা দেওয়া আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল।
এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সংস্থার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানো প্রয়োজন, অন্যথায় ফিলিস্তিনিরা আরও একটি মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।