প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৬:১৪
রাশিয়ার চীন সীমান্তবর্তী আমুর অঞ্চলে ভয়াবহ এক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৯ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য। বিধ্বস্ত যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ ইতোমধ্যে ওই অঞ্চলে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দুর্ঘটনার কারণ ও বিস্তারিত অনুসন্ধান এখনো চলমান।
বৃহস্পতিবার এনডিটিভি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তোনভ-২৪ নামের বিমানটি রাশিয়ার ব্লাগোভেশচেনস্ক শহর থেকে টিন্ডা শহরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। যাত্রাপথে হঠাৎ করে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় বিমানটি। পরে আমুর অঞ্চলের এক বনাঞ্চলে এর পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়।
বিমানটিতে পাঁচ শিশুসহ মোট ৪৩ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, আকাশে থাকা অবস্থায়ই উড়োজাহাজটির মূল অংশে আগুন ধরে যায় এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফলে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই এটি বিধ্বস্ত হয় এবং ঘটনাস্থলেই সবাই নিহত হন।
যদিও রাশিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উড়োজাহাজটিতে ৪০ জন আরোহী ছিলেন বলে তাদের কাছে প্রাথমিক তথ্য রয়েছে। মৃতের সঠিক সংখ্যা জানতে তদন্ত ও শনাক্তকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক বার্তায় এই দুর্ঘটনার বিষয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার ও অনুসন্ধান দলের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে। বিমানের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষারও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মানসিক সহায়তার জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলোতে এই দুর্ঘটনা ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক মহলেও এই দুর্ঘটনায় শোক জানানো হয়েছে এবং এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য ব্যাপক তদন্ত দাবি উঠেছে।