উত্তর গাজার বেইত হানুনের কাছে হামাসের আকস্মিক হামলায় এক ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও পাঁচজন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। নিহত সেনা গা’লেব স্লিমান আলনাসাসরা ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী এবং গাজার উত্তর ব্রিগেডের একজন ট্র্যাকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই হামলার ফলে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর প্রথমবারের মতো কোনও ইসরাইলি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে গাজার অভ্যন্তরে একটি সেনা শিবিরের পাশে আইডিএফের একটি লজিস্টিক রোড ধরে সেনারা চলাচল করার সময় হঠাৎই গাজা ভূগর্ভস্থ একটি টানেল শ্যাফ্ট থেকে হামাস যোদ্ধারা বেরিয়ে এসে গুলি চালায়। সেইসাথে তারা একটি রকেটচালিত গ্রেনেড (আরপিজি) ছুড়ে সেনা গাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করে। এতে সেনাদের মধ্যে তীব্র হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতদের মধ্যে ছিলেন ৪১৪তম কমব্যাট ইন্টেলিজেন্স কালেকশন ইউনিটের তিনজন নারী সেনা সদস্য। তাদের মধ্যে একজন অফিসার ও একজন কমব্যাট মেডিক গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঘটনাটিকে চরম হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে আইডিএফ দ্রুত এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং পাল্টা অভিযানে নামে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হামাস পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই এই হামলা চালিয়েছে এবং নিরস্ত্র সেনা পরিবহনকে টার্গেট করেছে। সেনাবাহিনী ধারণা করছে, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল সেনা ছাউনি ও সামরিক চলাচলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।
হামলার পরপরই আইডিএফ এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে হামলাকারীদের সন্ধান ও নির্মূলের কাজ শুরু করে। বেশ কিছু স্থানে গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলার মাধ্যমে প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান ধ্বংস করার দাবি করা হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী এই ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করে জানিয়েছে, হামাসের এমন কর্মকাণ্ডে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও দুর্বল হলো। গাজা সীমান্তে এই হামলা আরও বড় সংঘর্ষের ইঙ্গিত বহন করছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।