ভাত খেতে দিল না যুবদল কর্মীকে, ঐ সময় গুলি করে হত্যা

চট্টগ্রামের রাউজানে রাতে বাসায় ভাত খাওয়ার সময় দুর্বৃত্তের গুলিতে মুহাম্মদ মানিক আবদুল্লাহ নামে এক যুবদলকর্মী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিব উল্লাহপাড়া গ্রামের ভান্ডারী কলোনির একটি বাসায় এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত মানিক আবদুল্লাহ ওই গ্রামেরই আবদুল মোতালেবের ছেলে এবং দীর্ঘদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানের পর গত বছরের অক্টোবরে দেশে ফেরেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মানিক বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। ঘটনার সময় তিনি বাসায় এক আত্মীয়ের সঙ্গে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে ১২-১৫ জনের একটি সশস্ত্র দল বাসায় হানা দেয় এবং দরজার সামনে থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

মুহূর্তেই তিনটি গুলি মানিকের মাথা ও দুই পায়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুরো ঘটনাটি কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটে যায় এবং কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই হত্যাকারীরা অদৃশ্য হয়ে যায়।

নিহতের ছোট ভাই সাকিল আহমেদ জানান, কয়েক মাস আগেও মানিক রাজনৈতিক বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, আগের সেই ঘটনার জের ধরেই এবার পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বাসার ভেতরে খাওয়ার সময়ই দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে গুলি করে মানিককে হত্যা করে। তার সঙ্গে থাকা অপর ব্যক্তির খোঁজ মিলছে না, তিনি নিখোঁজ না পালিয়ে গেছেন—তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে না পারলেও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে।